আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
243 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

মুহতারাম, আমি একজন কলেজ ছাত্র। ফিউচারে আমি মেডিকেলে পড়াশোনা করার ইচ্ছা রাখি। কিন্তু বর্তমানে এত প্রতিযোগিতা যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পড়াশোনা না করলে ভার্সিটিগুলোতে ভর্তি হওয়া মুশকিল।

আমি সলাতে খুববেশি তাড়াহুড়ো করতে পারিনা।আর দ্রুত পড়ে খুশু অর্জনও সম্ভব নয়। ঈশার নামাজ সুন্নাত ও বিতর মিলিয়ে শেষ করতে প্রায় একঘন্টা লাগে।
এক্ষেত্রে কি আমি সুন্নাত সালাতগুলো বাদ দিতে পারবো?আমি ডাক্তরি পেশার মাধ্যমে মানুষের সেবার নিয়ত রাখি।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَرْكَعُ قَبْلَ الْجُمُعَةِ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً مَا بَلَغَكَ فِي ذَلِكَ قَالَ أَخْبَرَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ عَنْبَسَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ رَكَعَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ سِوَى الْمَكْتُوبَةِ بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ " .
ইবরাহীম ইবনু হাসান (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আম্বাসা ইবনু আবূ সুফয়ান (রাঃ) এর কাছে বর্ণনা করেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রি ফরয সালাত ব্যতীত বারো রাকআত (সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার) সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
(সুনানে নাসায়ী ১৮০০)
,
হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নিয়মিত আদায় করবে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হলো জোহরের আগে চার রাকাত, পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, এশার পরে দুই রাকাত এবং ফজরের আগে দুই রাকাত। -জামে তিরমিযী : ৪১৪।

সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সম্পর্কে আল্লামা জুরজানী রাহ বলেনঃ
ﻭﺣﻜﻤﻬﺎ ﻛﺎﻟﻮﺍﺟﺐ -— ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻳﻌﺎﻗﺐ ﻭﺗﺎﺭﻛﻬﺎ ﻻ ﻳﻌﺎﻗﺐ - ( ﺍﻟﺘﻌﺮﻳﻔﺎﺕ ﻟﻠﺠﺮﺟﺎﻧﻰ 138-
সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়ে যেতেও পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে।

আরো জানুনঃ

★সুতরাং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বিনা প্রয়োজনে ছেড়ে দেওয়া গুনাহ,আর শরয়ী প্রয়োজনে ছেড়ে দেওয়া জায়েয হলেও  ছেড়ে দেওয়া অভ্যাস হয়ে গেলে গুনাহ  হবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ছেড়ে দেওয়া জায়েয নেই। 
তবে ঘটনাক্রমে কোনো সময়ে প্রয়োজনে ছেড়ে দিলে কোনো সমস্যা হবেনা।        
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রতিনিয়ত সুন্নাত ছেড়ে দেওয়া জায়েয হবেনা।
,
 ফরজ+সুন্নাত+ বিতর (৪+২+৩) =৯ রাকাত।
,
এটি আদায় করতে এতো সময় লাগার কথা নয়।
১৫/২০ মিনিটেই আদায় হয়ে যায়,কাহারো মাত্র ১০ মিনিটেই আদায় হয়ে যায়।
,
আপনি এক্ষেত্রে ছোট সুরা দিয়ে নামাজ পড়তে পারেন।
,
হাদীসে ফজরের নামাজেও ছোট সুরা পড়া সংক্রান্ত কথা এসেছে। 
আবু সাওয়ার কাযী রাহ. বলেন-
صَلّيْتُ خَلْفَ ابْنِ الزّبَيْرِ الصّبْحَ، فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ: أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ.
আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.-এর পিছনে ফজরের নামায পড়েছি। নামাযে আমি তাকে পড়তে শুনেছি أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ (সূরা ফাজ্র : ৬-৭)। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৫৭৯
,
সুতরাং আপনি ছোট সুরা দিয়ে নামাজ পড়বেন,তাহলে সময় নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবেনা।
সুন্নাত নামাজে সংক্ষেপে রুকু সেজদা,বৈঠক করবেন।
তাহলে সময় কম লাগবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 300 views
...