জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَرْكَعُ قَبْلَ الْجُمُعَةِ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً مَا بَلَغَكَ فِي ذَلِكَ قَالَ أَخْبَرَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ عَنْبَسَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ رَكَعَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ سِوَى الْمَكْتُوبَةِ بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ " .
ইবরাহীম ইবনু হাসান (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আম্বাসা ইবনু আবূ সুফয়ান (রাঃ) এর কাছে বর্ণনা করেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রি ফরয সালাত ব্যতীত বারো রাকআত (সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার) সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
(সুনানে নাসায়ী ১৮০০)
,
হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নিয়মিত আদায় করবে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হলো জোহরের আগে চার রাকাত, পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, এশার পরে দুই রাকাত এবং ফজরের আগে দুই রাকাত। -জামে তিরমিযী : ৪১৪।
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সম্পর্কে আল্লামা জুরজানী রাহ বলেনঃ
ﻭﺣﻜﻤﻬﺎ ﻛﺎﻟﻮﺍﺟﺐ -— ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻳﻌﺎﻗﺐ ﻭﺗﺎﺭﻛﻬﺎ ﻻ ﻳﻌﺎﻗﺐ - ( ﺍﻟﺘﻌﺮﻳﻔﺎﺕ ﻟﻠﺠﺮﺟﺎﻧﻰ 138-
সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়ে যেতেও পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে।
আরো জানুনঃ
★সুতরাং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বিনা প্রয়োজনে ছেড়ে দেওয়া গুনাহ,আর শরয়ী প্রয়োজনে ছেড়ে দেওয়া জায়েয হলেও ছেড়ে দেওয়া অভ্যাস হয়ে গেলে গুনাহ হবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ছেড়ে দেওয়া জায়েয নেই।
তবে ঘটনাক্রমে কোনো সময়ে প্রয়োজনে ছেড়ে দিলে কোনো সমস্যা হবেনা।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রতিনিয়ত সুন্নাত ছেড়ে দেওয়া জায়েয হবেনা।
,
ফরজ+সুন্নাত+ বিতর (৪+২+৩) =৯ রাকাত।
,
এটি আদায় করতে এতো সময় লাগার কথা নয়।
১৫/২০ মিনিটেই আদায় হয়ে যায়,কাহারো মাত্র ১০ মিনিটেই আদায় হয়ে যায়।
,
আপনি এক্ষেত্রে ছোট সুরা দিয়ে নামাজ পড়তে পারেন।
,
হাদীসে ফজরের নামাজেও ছোট সুরা পড়া সংক্রান্ত কথা এসেছে।
আবু সাওয়ার কাযী রাহ. বলেন-
صَلّيْتُ خَلْفَ ابْنِ الزّبَيْرِ الصّبْحَ، فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ: أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ.
আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.-এর পিছনে ফজরের নামায পড়েছি। নামাযে আমি তাকে পড়তে শুনেছি أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ (সূরা ফাজ্র : ৬-৭)। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৫৭৯
,
সুতরাং আপনি ছোট সুরা দিয়ে নামাজ পড়বেন,তাহলে সময় নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবেনা।
সুন্নাত নামাজে সংক্ষেপে রুকু সেজদা,বৈঠক করবেন।
তাহলে সময় কম লাগবে।