আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
641 views
in সালাত(Prayer) by (91 points)
edited by

১. নামাজে যদি হঠাৎ মনে মনে কনফিউশান হয় যে, সুরা মিলালাম কিনা, বা তাশাহুদ পরাম কিনা, এই সন্দেহ হলে কি করবো?

২.আপনার একটি জবাবে দেখলাম" সাহু সিজদা ওয়াজিব না থাকার পরও কেউ দিয়ে দিলে নামায হয়ে যাবে।নামাযে কোনো সমস্যা হবে না"।  এটা দেখে অনেক সময় সন্দেহের দরুন সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ পরতাম।যেহেতু আমরা সব সময় একদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দেই। তাই এভাবেই দিতাম। দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদার কথা জানা ছিলো না, জানতাম দুই দিকে সালাম ফিরালে নামাজ শেষ হয়ে যায়।কিন্তু কদিন আগে হঠাৎ দেখি যে

"যদি এই সাহু সিজদা (যা ওয়াজিব হয়নি) দুই সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে নামায হয়ে যাবে।আর যদি এক সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়াতে হবে(কিতাবুন-নাওয়যিল-৩/৬৩৯)"। এখন তো আগের নামাজ গুলো নিয়ে ভয় হচ্ছে কি করবো?,  আর এই দুই কথা কি বিপরীত না সমন্বয় আছে, একটু যদি জানাতেন আমাদের আমল করা সহজ হতো।

৩. নামাজে সন্দেহ আমলে নিয়ে তিন তসবি পরিমান ভাবার বিষয়টিও বুঝতেছি না। এটা কি নামাজের পড়া, যেমন সুরা, বা তসবি, বা তাশাহুদ পড়া, থামিয়ে ভাবলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? না কি  এইগুলো পড়া চলতে চলতেও যদি তিন তসবি পরিমান সন্দেহ ভাবি তাহলেও সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? ভাবনার সুরত টা কিকরম?

৪. আমরা একটা কবিতা পড়েছিলাম যার শেষ লাইন ছিলো " শূণ্য মন্দির মোর" এই কবিতা নিজে নিজে পড়তাম ও, এটার দ্বারা কি মন্দিরকে নিজের বলে দাবি করা হচ্ছে? এতে কি কুফর হবে? (আমি কখনো মন্দির নিজের বলে দাবী করে এটা বলেছি বলে মনে পরছে না)

মন্দির /বিশেষ্য পদ/ ভবন, দেবালয়; গৃহ, উপাসনা গৃহ। (উনি অনেক পুরাতন কবি মন্দিরের অর্থ ঘর হিসাবেও লিখতে পারেন)

৫. কেও যদি বলে উঠে "দিল/মন বেইমান, বেইমান রে" তাহলে কি কাফের হবে?(নিজেকে বেইমান বলার উদ্দেশ্য না)

(আমার সন্দেহ হচ্ছে যে এই কথাটা বুকের দিকে ইংগিত করে গানের লাইন হিসাবে বলেছি কিন্তু এরকম করেছি মনে পরছে না, সন্দেহ হচ্ছে, তবে প্রায়ই বিভিন্ন ভাবে নরমালি গান হিসাবে গেয়ে উটতাম )  

৬. আমার বউকে বলি যে "জলদি ঘুমাও না হয় ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারবে না" তখন সে বলে" না পারলে নাই" এর পরপর ম্যাসেজ দিলো আবার" ঘুমানির ব্যবস্থা করা লাগবো" এই কথায় কি ইমানে সমস্যা হবে?

৭. মুফতি সাহেব একটা প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন,সম্পূর্ন জবাব না পেয়ে, আবার প্রশ্ন করেছিলাম উত্তর দিয়েছিলেন। আজ দেখলাম  আবার মাস খানিক পরে সেই প্রথম প্রশ্নের কমেন্টে একটি বিষয় জানতে চেয়েছেন,(October এ) আমি আজ দেখে রিপ্লে দিয়েছি একটু দেখবেন।

যেটার কমেন্টে প্রশ্ন করেছেন, https://ifatwa.info/54938/

পরবর্তী দিনে আবার অবশ্য জবাব দিয়েছিলেন, https://ifatwa.info/55059/

কোনো কিছু সংযোজন করতে চাইছেন কিনা জানি না,তাই বিষয়টা একটু দেখালাম।

জাজাকাল্লাহ মুফতি সাহেব।

by (91 points)

৫. কেও যদি বলে উঠে "দিল/মন বেইমান, বেইমান রে" তাহলে কি কাফের হবে?(নিজেকে বেইমান বলার উদ্দেশ্য না)

(আমার সন্দেহ হচ্ছে যে এই কথাটা বুকের দিকে ইংগিত করে গানের লাইন হিসাবে বলেছি কিন্তু এরকম করেছি মনে পরছে না, সন্দেহ হচ্ছে, তবে প্রায়ই বিভিন্ন ভাবে নরমালি গান হিসাবে গেয়ে উটতাম )  

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাজে যদি হঠাৎ মনে মনে কনফিউশান হয় যে, সূরা মিলালাম কিনা? বা তাশাহুদ পরলাম কিনা? তাহলে তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করে কোনো একদিককে নির্দিষ্ট করে সেই অনুযায়ী নামায পড়া এবং শেষে সাহু সিজদা দেয়া।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1797

(২)
কিতাবুন নাওয়াযিলে হাকীমুল উম্মত থানভী রাহ এর বক্তব্যকে বাদায়ে সানায়ের কিতাবের হাওয়ালা সহ উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত রেফারেন্স ও তাতে বর্ণিত সকল বিষয়াদিই বিশুদ্ধ। সুতরাং আপনি যত নামায এভাবে সন্দেহমুলক সিজদায়ে সাহু এক সালামের পর দিয়ে পড়েছেন। সেইসব নামাযগুলিকে কাযা করে নেবেন।

(৩)
নামাযের মধ্যে সুরা বা তাসবিহ  কিংবা তাশাহুদ পড়াকে থামিয়ে রা'কাত সংখ্যা ইত্যাদি নিয়ে তিন তাসবিহ পরিমাণ ভাবলেই কেবল সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। আর পড়তে পড়তে ভাবলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

(৪)
" শূণ্য মন্দির মোর"  পড়ার দ্বারা কুফরি হবে না। কেননা এখানে বিধর্মীদের ইবাদত স্থানকে নিজের জন্য সাব্যস্ত করা হচ্ছে না।

(৫)
"দিল/মন বেইমান, বেইমান রে" এই শব্দ উচ্ছারণ করার দ্বারাও কুফরি হবে না।

(৬)
জ্বী, দেখেছি। সেখানে আপনি প্রশ্ন বুঝিনি।তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম।প্রশ্নটি সেখানের কমেন্টে সুন্দর করে লিখে দিবেন।জাযাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
তাহলে সন্দেহ হলে যে।সাহু সিজদা দিবো তা দুই দিকে সালাম ফিরিয়েই দিতে হবে? না কি? একদিনে সালাম ফিরিয়ে দিলে হবে না...
তাই কি?
by (583,410 points)
জ্বী, এভাবেই বিষয়টা। জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 511 views
0 votes
1 answer 384 views
0 votes
1 answer 587 views
...