আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

ঘটনাঃ১।  আমার স্বামীর সাথে আমার গত দেড় বছর আগে ফোনে ঝগড়া হয়। 
ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমার স্বামী আমাকে বলে "তোকে আমি তালাক দি" আর তখনই আমি ফোন কেটে দেই৷  আবার ২য় বার কল দেই তখনও সে বলে "আগে আমি হাত কাটবো ৷  তারপর তোকে তালাক দি" আবারও আমি ফোন কেটে দেই। 
পরে কিছুক্ষণ পর আমি তাকে আবার ফোন করে জিজ্ঞেস করি সে তখন কি বলছে৷ 
সে বলে আমার মনে পড়তেছে না৷। আমি জিজ্ঞেস করি কয়বার বলছেন, সে বলে আমার মাথা এখনও গরম আছে আমার কিছুই মনে পড়তেছে না৷। 
আমি বার বার জিজ্ঞেস করতে থাকি৷ তখন সে বলে "হয়ত দিলাম বলছি।" তখন আমি তাহলে তো সব শেষ বলে কেদে দেই। তারপর আমার স্বামী বলে "পাগল হয়ে গেছো তুমি? তুমি বুঝতেছো কি বলতাছো?" তখন আমি বলি আপনি তো বলতেছেন আপনি দিলাম বলছেন৷ তখন আবার সে বলে "আমার স্পষ্ট মনে নাই ৷ আমার কিছু মনে পড়তেছে না ৷ কালকে সকালে কথা বলবো আমার ভালো লাগতেছে না৷  এখন রাখো।"
পড়ের দিন সকালে তাকে ফোন দেই সে বলে, "আমি ফার্স্টবার দিবো বলতে গেছি তখন তুমি ফোন কেটে দিছো৷ আমি দিবো পুরোপুরি বলতে পারি নাই ৷ বাট আমার উদ্দেশ্য ছিল দিবো বলার। আর ২য় বার পুরাটাই বলছি, দিবো বলছি৷ দুইটাই আমি ১০০% শিওর৷। আর কালকে রাতে রেগে ছিলাম মাথা পুরা হ্যাং হয়ে ছিল কিছুই মনে পড়তেছিল না কি বলছি না বলছি। এখন মনে পড়ছে আর আমি এগুলো শিওর ১০০%, যে দুইবারই দিবো বলছি। "

বাট আমার তারপরও ভয় হচ্ছিল, যদি ভুল করেও বলে থাকে, আর তার যদি মনে না থাকে৷। তারপর আমার স্বামীকে আমি বলি আপনি বলতেছেন আপনি দিবো বলছেন, আপনার কথা আমি মানলাম কিন্তু তারপরও আপনি মৌখিক রুজু করেন৷। 
তখন আমার স্বামী আমার শান্তনার জন্য মৌখিক রুজু করে ফিরিয়ে নিলাম বলে৷। 

কয়েকদিন আগে এটা নিয়েও ওয়াসওয়াসা হয়৷ যে দিবো বলার পরও রুজু করাতে আবার সমস্যা হলো কিনা ৷ তখন আপনাদের সাইটে একজন আমার মত প্রশ্ন করছে যে তারাও সন্দেহের কারনো মৌখিক ফিরিয়ে নিলাম বলছিল । আপনারা উত্তরে বলেন এতে কোন সমস্যা হবে না। 

আমি কিছুদিন আগে আপনাদের প্রশ্ন করেছিলাম হয়ত দিলাম বলছি বলাতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে কিনা? তখন  হুজুর  মুফতী ওলি উল্লাহ বলেছিল, "হয়ত দিলাম বলছি, আমার কিছু মনে পড়তেছে না এখন রাখো কালকে সকালে কথা হবে। " এখানে সে সন্দেহের ভিত্তিতে বলছে৷ আর সন্দেহের ভিত্তিতে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না৷ তাই তালাকও হবে না৷" 


প্রশ্ন (০১) = এখন আমার এখানে আরেকটি প্রশ্নঃ এখানে, ফার্স্টবার স্বামী  তালাক দিবো বলতে গেছে বাট তার আগেই আমি ফোন কেটে দিছি। সে পুরো কথা শেষ করতে পারে নাই৷ তার এই অর্ধেক কথার দ্বারা কি তালাক পতিত হবে??????????

ঘটনাঃ২।৷  উপরের ঘটনার পর থেকে আমার প্রচুর ওয়াসওয়াসা হত। আমি প্রায়ই স্বামীকে জিজ্ঞেস করতাম আপনি দিবোই বলছিলেন তো? সে বলতো হ্যা দিবোই বলছি।
বাট আমার মাথায় এটা প্রায়দিনই ঘুরতো। মনে পড়তো। আর ভয় হয়ত কিছু হলো কিনা।

"তো একদিন রাতে আমি স্বপ্নে দেখি৷ কেউ একজন,  আমাকে বলতেছে তোমাদের তালাক হয়ে গেছে। তাকে আমি স্পষ্ট দেখি নি স্বপ্নে। পুরুষ না মহিলা তাও শিওর ভাবে দেখি নাই। শুধু এতটুকু শুনছি মনে আছে।"
ঘুম থেকে উঠার পর আমি ফার্স্টে মনে মনে ভাবি এসব নিয়ে বেশি ভাবি তাই হয়ত দেখছি।আবার একটু ভয়ও পাই। আবার ভাবি এটা নিয়ে তো পরশুদিন টেনশন করছিলাম তাহলে কালকে রাতে স্বপ্ন দেখলাম কেন। এভাবে বিক্ষিপ্ত চিন্তা আসতে থাকে। 
"পড়ে আমি নিজে নিজে বিড়বিড় করে স্বপ্নের ঐ ব্যাক্তিকে বলতে থাকি হ্যা হইছে। হইলে হইছে, তাতে তোর কি৷  যদি কিছু হয়েও থাকে তাহলে আমার স্বামী তো দুইবার বলছে । তাতে তো আমাদের সম্পর্ক এখনও জায়েজ আছে। আর তাছাড়া সে তো আমাকে কসম করে বলছে যে সে দিবো বলছে।"

প্রশ্ন (০২) = এখানে আমার প্রশ্নঃ আমি যে নিজে নিজে এভাবে বিড়বিড় করে এসব বলছি এতে কি কোন সমস্যা মানে তালাক পতিত হইছে৷ বা স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়া হইছে৷????

ঘটনাঃ ৩।।।।৷ আমার গত তিন চার মাস ধরে ওয়াসওয়াসার চরম মাত্রায় বেড়ে গেছে। তিন চার মাস আগে এক ভিডিওতে কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানার পর থেকে আমি গুগলে আর ইউটিউবে এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করি৷ প্রশ্নও করি। আর প্রতিদিন স্বামীকে আগের ঘটনার কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকি৷ আর কেনায়া শব্দর কথা আস্ক করতে থাকি।  
হাসবেন্ড রেগে যায় বার বার। অনেক কন্ট্রোল করার চেষ্টা করি নিজেকে বাট পারি না।। 
তো সেদিন হুজুর হাসবেন্ডকে এখানে উল্লেখিত ১ম ঘটনার কথা আবার আস্ক করি। 
এভাবে আস্ক করি যে আপনি যে দিবো বলছিলেন আর আমি কেটে দিছিলাম। আমি তো পুরাটা শুনি নাই৷ আপনি দিবোই বলছিলেন তো? 

""তখন হাসবেন্ড রেগে যেয়ে বলে,, আমি তোমাকে তালাক দি বলছি আর তুমি ফোন কেটে দিছো৷ আমি পুরাটা শেষ করতে পারি নাই । কিন্তু আমি তালা* দিবো বলতে গেছিলাম। দিবো বলছি । আমার উদ্দেশ্য ছিল দিবো বলা । ""

প্রশ্ন (০৩) = এখানে আমার প্রশ্নঃ এখানে হাসবেন্ড আগের ঘটনার বর্ণনার প্রক্ষিতে যে পুরাটা বলে বুঝাইতে গেছে। এটার দ্বারা কি নতুন করে তালাক পতিত হইছে?????

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
""তখন হাসবেন্ড রেগে যেয়ে বলে,, আমি তোমাকে তালাক দি বলছি আর তুমি ফোন কেটে দিছো৷ আমি পুরাটা শেষ করতে পারি নাই । কিন্তু আমি তালা* দিবো বলতে গেছিলাম। দিবো বলছি । আমার উদ্দেশ্য ছিল দিবো বলা । ""
এখানে হাসবেন্ড আগের ঘটনার বর্ণনার প্রক্ষিতে যে পুরাটা বলে বুঝাইতে গেছে। এটার দ্বারা নতুন করে তালাক পতিত হবে না।


পরবর্তীতে  আপনার সমস্ত বিবরণ পড়েছি, এখানে তালাকের কিছুই নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (2 points)
edited by
ধন্যবাদ হুজুর

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...