আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম

মনি ও মযি সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্ন আমার ভিতর থেকে যাচ্ছে। যা থেকে ওয়াসওয়াসা চলে আসছে মনের ভিতর।

উত্তেজক কোন কিছু চিন্তুা করলে, কথা বললে বা দেখলে যে মযি বের হয় তা কাপড় বা শরীরের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত  অবস্থায় লেগে যায়। নির্দিষ্ট করে ধরা যায় না কোথায় কোথায় লেগে গেল। আবার এসব চিন্তুা থেকে অনেকক্ষণ বিরত থাকার পর উক্ত মযি কাপড়ে কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায় না। অর্থাত শুকিয়ে যায়। এ বিষয়টির উপরে ৩ টি প্রশ্ন রয়েছে

১। শরিরের যদি নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বা কাপড়ে মযি স্পষ্ট বুঝা যায় সেক্ষেত্রে সংগে সংগে উক্ত জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে ভেজা অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে কিনা।  এভাবে যতবার লাগবে ততবারই ধুয়ে ভেজা অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে কিনা।

২। মজি কাপড়ে বা শরীরে লেগেছে  এটা নিশ্চিত। তবে সেই মুুহুর্তে এটা খেয়াল করা বা দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু নামাযের ওয়াক্ত আসার সময় মনে হলে শরীরে বা কাপড়ে কোথাও মজি লেগেছে। কিন্তু কোথায় লেগেছে  এটা বলা যাচ্ছে না ‍শুকিয়ে যাওয়ার কারণে। এমন অবস্থায়  কাপড়ও পাল্টানোর সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে উক্ত কাপড় পড়ে নামাজ আদায়ের হুকুম কি? অথবা এমন হতে পারে যে কাপড়ে মজি লেগেছে কিন্তু মনে নেই উক্ত অবস্থায় নামাজ আদায় করা হয়েছে। পরে মনে হলো কাপড়ে মজি লেগেছিল তখন কি করনীয়।
৩। যদি প্যান্ট বা পায়জামার নিচে আলাদা করে জাইঙ্গা পড়া হয় আর সেটাতেই যদি মযি লাগে তাহলে কি না ধুয়েই নামায আদায় করা যাবে কিনা।

৪। বীর্য কাপড়ে লেগে শুকিয়ে গেলে সে কাপর কি নাপাকই থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 320 views
...