আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। হুজুর আমি দেশের একটি স্বনামধন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত। কিছুদিন আগে আমারই সহপাঠী এক ছেলের সাথে আমি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি এবং এর ফলস্বরুপ আমি এখন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু ছেলেটি বাচ্চা রাখতে দিতে চায়না। সে এখন আমাকে বিয়ে করতে, এমনকি আমার সাথে কোনো ধরণের যোগাযোগ রাখতে অস্বীকার করছে। সে অন্য  একজনকে ভালোবাসে আর তাকেই বিয়ে করতে চায়। সে আত্ম হ ত্যা করতে চায়ছিল। তাকে আটকাতে আমি তার সব শর্ত মেনে নিয়েছি, যে জীবনে কেউ কোনোদিন ইন শা আল্লাহ তার এই বাচ্চার বিষয়ে কিছু জানতে পারবেনা। আমার পরিবার এখনও কিছুই জানেনা এবং আন্দাজও কর‍তে পারেনি। তারা পারিবারিকভাবে আমার বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি যেকোনোকিছুর বিনিময়ে আমার বাচ্চাটাকে রাখতে চাই ইন শা আল্লাহ। কিন্তু আমার পরিবার তো কিছুতেই মেনে নেবেনা। উপরন্তু তারা অনেক কষ্ট পাবে। আমি এখন কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা। আমাকে সাহায্য করবেন ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়।

চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

চারমাস পূর্বে গর্ভপাত
এ পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম।
বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে।

চারমাস পর গর্ভপাত সম্পূর্ণ হারাম।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/446

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ঐ ছেলে আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়, তাহলে ঐ সন্তান বৈধ বলে বিবেচিত হবে।কিন্তু সে বিয়ে করতে রাজি না হলে আপনি অন্যত্র বিয়ে করলে সে সন্তান অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
আলী ইবন আসিম ইমাম আবু হানিফা রহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
 لا أرى بأسا إذا زنى الرجل بالمرأة فحملت منه , أن يتزوجها مع حملها , ويستر عليها , والولد ولد له
অবৈধ মেলামেশার কারণে যদি সন্তান এসে যায় তারপর তারা যদি একে অপরকে বিয়ে করে নেয় তাহলে বিষয়টি গোপন রাখার ও সন্তানটির পিতা উক্ত স্বামী; একথা বলার মাঝে আমি মন্দ কিছু দেখি না। (আলমুগনি ৯/১২২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এখন দুই মাস চলছে, তাই আপনি গর্ভপাত করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...