আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
edited by
1.স্বামীর কোন কথার অবাধ্য হয়না স্ত্রী।কিন্তু স্বামী চায়না স্ত্রী অনলাইনে কুরআন বা কোন ইসলামিক বিষয়ে জানুক বা শিখুক।এমন না যে স্বামীর যত্ন বা সাংসারিক কাজ রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা অনলাইনে বসে থাকে কুরআন শেখার জন্য।স্বামী দূরে থাকে।
এক্ষেত্রে কী স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়া অনলাইনে মহিলা উস্তাযার কাছে কুরআন বা ইসলামিক বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবে?


2. আমরা জানি স্বামী / পিতা কোন টাকার মালিক মানিয়ে দিলে আমরা কন্যা/ স্ত্রী গণ সেই টাকা সাদাকাহ কিংবা কোথাও খরচ করতে পারি।  এখন আমরা বুঝবো কিভাবে তারা আমাদের মালিক মানিয়ে দিচ্ছেন কিনা?
আর এমন সিচুয়েশন যে মালিক বানিয়ে দেয়া না দেয়া অনেকেই জানেন না । সরাসরি আস্ক ও করা যায় না।
৩. তারা আমাদের কোন খরচের জন্য দিলে কি আমরা মালিক হবোনা? আমরা কি সেই জিনিস বাদে অন্যত্র খরচ করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/40092/?show=40092#q40092 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

ইবনে আবেদীন শামী রাহ, জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন। যাকে আমাদের সামনে আসলে, ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।

তিনি বলেনঃ

وَكُلُّ مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ الْحَرَامِ فِيهِ اهـ

যে বক্তি কোনো জিনিষ বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করজে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করা ফরয।যাতে করে উক্ত বিষয় ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)..................বিস্তারিত-  https://www.ifatwa.info/1893  

 

আপনি জানতে চাচ্ছেন যে, কতোটুকু জ্ঞান অর্জন করাটা ফরয?কী কী জিনিষ এই ফরজ ইলমের অন্তর্ভুক্ত? এবং কোন কোন বিষয়?

 

এর উত্তর হচ্ছে, আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয। যেমন, নামায আল্লাহর ফরয বিধান, নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত। তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয। ঠিক তেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয। ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণে একমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয। তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান। রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয। অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয। ইত্যাদি ইত্যাদি।

 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

 

১. ফরয পরিমাণ ইলম শিক্ষা করা যেহেতু জরুরী বা ফরজ আর সেই পরিমাণ ইলম যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্বামী নিষেধ করার পরও দ্বীনী ইলম অর্জন করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রেও স্বামীকে বুঝিয়ে রাজী করানোর আপ্রান চেষ্টা করতে থাকবেন এবং তিনি যখন কথা বলতে বা সময় দিতে চাবেন তখন ছাড়া অবসর সময়গুলোতে ইলম অর্জন করবেন। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি ছাড়া অনলাইনে মহিলা উস্তাযার কাছে কুরআন বা ইসলামিক বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।

 

-. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি তারা নির্দিষ্ট কোনো কাজে খরচ করার জন্য টাকা দিয়ে থাকেন তাহলে উক্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজে খরচ করবেন না আর যদি  নির্দিষ্ট কোনো কাজে খরচ করার কথা না বলে এমনি এমনি দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি যে কোনো বৈধ কাজে খরচ করতে পারবেন এতে কোনো সমস্যা নেই

স্বামীর পকেট থেকে গোপনে টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/53526/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...