বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/40092/?show=40092#q40092 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ, জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন। যাকে আমাদের
সামনে আসলে, ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
তিনি বলেনঃ
وَكُلُّ مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ
يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ الْحَرَامِ فِيهِ اهـ
যে বক্তি কোনো জিনিষ বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করজে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করা ফরয।যাতে করে উক্ত
বিষয় ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)..................বিস্তারিত- https://www.ifatwa.info/1893
আপনি জানতে চাচ্ছেন যে, কতোটুকু জ্ঞান অর্জন করাটা ফরয?কী কী জিনিষ এই ফরজ ইলমের অন্তর্ভুক্ত? এবং কোন কোন বিষয়?
এর উত্তর হচ্ছে, আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয়
থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয। যেমন, নামায আল্লাহর ফরয বিধান, নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত। তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন
ফরয। ঠিক তেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয। ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণে
একমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয। তাই এ সম্পর্কীয় ইলম
অর্জন ফরয এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান। রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে
যথেষ্ট পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয। অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে
রাখা যায়, ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয। ইত্যাদি ইত্যাদি।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
১. ফরয পরিমাণ ইলম শিক্ষা করা যেহেতু জরুরী বা ফরজ। আর সেই পরিমাণ ইলম যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
স্বামী নিষেধ করার পরও দ্বীনী ইলম অর্জন করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রেও স্বামীকে
বুঝিয়ে রাজী করানোর আপ্রান চেষ্টা করতে থাকবেন এবং তিনি যখন কথা বলতে বা সময় দিতে
চাবেন তখন ছাড়া অবসর সময়গুলোতে ইলম অর্জন করবেন। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি ছাড়া অনলাইনে
মহিলা উস্তাযার কাছে কুরআন বা ইসলামিক বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
২-৩.
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি তারা নির্দিষ্ট কোনো কাজে খরচ করার জন্য টাকা
দিয়ে থাকেন তাহলে উক্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজে খরচ করবেন না। আর যদি নির্দিষ্ট কোনো কাজে খরচ করার কথা না বলে এমনি এমনি
দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি যে কোনো বৈধ কাজে খরচ করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
স্বামীর পকেট থেকে গোপনে টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে
বিস্তারিত জানুন-
https://ifatwa.info/53526/