জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পাঠ করা সুন্নাত।
সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ، وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي العَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ» (صحيح البخارى، رقم-776)
আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফাজরেও এ রকম করতেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭৭৬]
جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ لِسَعْدٍ: لَقَدْ شَكَوْكَ فِي كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى الصَّلاَةِ، قَالَ: «أَمَّا أَنَا، فَأَمُدُّ فِي الأُولَيَيْنِ وَأَحْذِفُ فِي الأُخْرَيَيْنِ، وَلاَ آلُو مَا اقْتَدَيْتُ بِهِ مِنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» قَالَ: صَدَقْتَ ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ أَوْ ظَنِّي بِكَ
জাবির ইবনু সামুরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাযি.) সা‘দ (রাযি.)-কে বললেন, আপনার বিরুদ্ধে তারা (কূফাবাসীরা) সর্ব বিষয়ে অভিযোগ করেছে, এমনকি সালাত সম্পর্কেও। সা‘দ (রাযি.) বললেন, আমি প্রথম দু’রাক‘আতে কিরাআত দীর্ঘ করে থাকি এবং শেষের দু’ রাক‘আতে তা সংক্ষেপ করি। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে যেমন সালাত আদায় করেছি, তেমনই সালাত আদায়ের ব্যাপারে আমি ত্রুটি করিনি। ‘উমার (রাযি.) বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন, আপনার ব্যাপারে ধারণা এমনই, কিংবা (তিনি বলেছিলেন) আপনার সম্পর্কে আমার এ রকমই ধারণা। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭৭০]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
৪ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলালে নামাজ হবে।
তবে যেহেতু উক্ত রাকাত গুলো সুরা না মিলানোই সুন্নাত ছিলো,তাই ভবিষ্যতে এরকমটি করবেননা।
(০২)
জামাতের সাথে নামাজ পড়া অবস্থায় মুক্তাদী যদি ১ম বৈঠলে দরুদ শরীফ পাঠ করে,এতে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
(০৩)
নামাজের বাইরে শুধু দুরুদে ইব্রাহীম পাঠ করা যাবে। দুরুদ ও সালাম একসাথে পাঠ করা আবশ্যক নয়।
(০৪)
ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে জানুনঃ-