বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)
আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।
সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।
এ বিধান কি শুধুমাত্র স্বামীর জন্য যে,সে তার স্ত্রীর কাছে থেকে গ্রহণ করতে পারবে? না স্ত্রীও তার স্বামীর কাছ থেকে পারবে?
উত্তরে বলা যায়,
ফায়দা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়ের বিধান প্রায় সমান সমান।
যেভাবে স্বামী ফায়দা নিতে পারবে,ঠিক সেভাবে স্ত্রীও ফায়দা নিতে পারবে।
ফায়দা গ্রহণের কথা আল্লাহ কুরআনে এভাবে উল্লেখ করেন যে,
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ।(সূরা বাকারা-১৮৭)
সুতরাং স্বামী তার স্ত্রীকে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে সুখ দিতে পারবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ে শাদীর মূল মাকসাদ শুধুমাত্র আনন্দ ফুর্তি নয়।বরং বিয়ে শাদীর প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ মাকসাদ হল,সন্তান জন্ম দেয়া ও নবীর উম্মত বাড়ানো।তাই বিনা প্রয়োজনে এমনটা করা যাবে না।বরং সর্বদা নির্দিষ্ট রাস্তায়ই সহবাস করতে হবে।হ্যা বিশেষ প্রয়োজনে পরস্পর পরস্পরের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের অনুমোদন ও রুখসত রয়েছে।
এ রুখসত শুধুমাত্র প্রয়োজন পর্যন্ত।এটাকে আম হুকুম ভাবা যাবে না।
(২)
স্ত্রীর বীর্য বার হলে গোসল ফরয হবে।নতুবা শুধুমাত্র আঙ্গুল প্রবেশ করানোর কারণে গোসল ফরয হবে না।