দুই জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর সামনে পাত্র পাত্রীর বা তাদের উকিলের ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ یُطۡعِمُوۡنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّہٖ مِسۡکِیۡنًا وَّ یَتِیۡمًا وَّ اَسِیۡرًا ﴿۸﴾
আর তারা মহব্বত থাকা সাপেক্ষে অভাবগ্ৰস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাবার দান করে।
(সুরা দাহর ০৮)
অর্থাৎ জান্নাতীদের এসব নেয়ামত এ কারণেও যে, তারা দুনিয়াতে অভাবগ্ৰস্ত, এতীম ও বন্দীদেরকে আহার্য দান করত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ أَبِيْ مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فُكُّوْا الْعَانِيَ يَعْنِي الأَسِيْرَ وَأَطْعِمُوْا الْجَائِعَ وَعُوْدُوْا الْمَرِيْضَ
আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা বন্দী আযাদ কর, ক্ষুধার্তকে আহার্য দাও এবং রুগীর সেবা-শুশ্রূষা কর। (বুখারী ৩০৪৬.৫১৭৪, ৫৩৭৩, ৫৬৭৯, ৬১৬৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮২৯)
এ আয়াতে (ও হাদীসে) বন্দী বলতে কাফের হোক বা মুসলিম, যুদ্ধবন্দী হোক বা অপরাধের কারণে বন্দী হোক সব রকম বন্দীকে বুঝানো হয়েছে। বন্দী অবস্থায় তাদেরকে খাদ্য দেয়া, মুসলিম কিংবা অমুসলিম, সর্বাবস্থায় একজন অসহায় মানুষকে-যে তার খাবার সংগ্রহের জন্য নিজে কোন চেষ্টা করতে পারে না- খাবার দেয়া অতি বড় সওয়াবের কাজ। [দেখুন: কুরতুবী]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
অমুসলিম দের দান অর্থাৎ শাড়ি কাপড় দেয়া যাবে।
তবে যাকাত হিসেবে দেয়া যাবেনা।
নফল সদকাহ হিসেবে দেয়া যাবে।
(০৪)
এতে আপনার মায়ের গুনাহ হবেনা।
(০৫)
তার মাগফিরাত এর দোয়া করতে হবে।