আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
(১)এখন মেয়েটা যদি ছেলটাকে কল্পনা করে ছেলেটার নাম ব্যবহার করে তাদের বিয়ে হচ্ছে বা বিয়ে পরবর্তী জীবন নিয়ে কাল্পনিক গল্প লেখে ফেসবুকে এতে বিয়ে জাতীয় কিছু হয়না। তাহলে ছেলেটা গল্প পড়লেও তো বিয়ে জাতীয় কিছু হতো না। তাই না শায়েখ?
(২) আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করতাম। আমার মা তাকে একবার বলছিল আমার মেয়েকে বৌ বলে ডাকতে পারো না। তখন ছেলে বলছিল যখন হবে তখন দেখবো। এটা কি ইজাব কবুল এর কথা? এতে কি বিয়ে হয়? আমি আমার মাকে এমন কথা বলতে বলি নাই৷ আমার মা নিজ থেকে বলছিল।

(৩) অমুসলিম দের দান অর্থাৎ শাড়ি কাপড় দেয়া যাবে কি?

(৪) আমার মায়ের একজন কেমন যেন চাচী হতো তার নাকি অনেক গুলো জ্বীন আছে। তারা নাকি মানুষের সাহায্য করে। তো আমার মা গেছিল একবার একটা কাজে কিন্তু তখন আমরা এসব সম্পর্কে এতো জানতাম না। যখন জানছি তখন আম্মু সরে আসছে। না জানার জন্য কি গুনাহ হবে আমার মায়ের?

(৫) মৃত মানুষকে গালি দিলে কাফফারা কিভাবে আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
ছেলেটা গল্প পড়লেও তো বিয়ে জাতীয় কিছু হতো না। 
এতে বিয়ে জাতীয় কিছুই হবেনা।

দুই জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর সামনে পাত্র পাত্রীর বা তাদের উকিলের ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ  হয়না।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটা ইজাব কবুল এর কথা নয়। এতে বিয়ে হয়না।

(০৩)
অমুসলিমদেরকে নফল দান সদকাহ করা যাবে।
এতেও ছওয়াব মিলবে।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ یُطۡعِمُوۡنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّہٖ مِسۡکِیۡنًا وَّ یَتِیۡمًا وَّ اَسِیۡرًا ﴿۸﴾ 

আর তারা মহব্বত থাকা সাপেক্ষে অভাবগ্ৰস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাবার দান করে।
(সুরা দাহর ০৮)

অর্থাৎ জান্নাতীদের এসব নেয়ামত এ কারণেও যে, তারা দুনিয়াতে অভাবগ্ৰস্ত, এতীম ও বন্দীদেরকে আহার্য দান করত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ أَبِيْ مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فُكُّوْا الْعَانِيَ يَعْنِي الأَسِيْرَ وَأَطْعِمُوْا الْجَائِعَ وَعُوْدُوْا الْمَرِيْضَ

আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা বন্দী আযাদ কর, ক্ষুধার্তকে আহার্য দাও এবং রুগীর সেবা-শুশ্রূষা কর। (বুখারী ৩০৪৬.৫১৭৪, ৫৩৭৩, ৫৬৭৯, ৬১৬৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮২৯)

এ আয়াতে (ও হাদীসে) বন্দী বলতে কাফের হোক বা মুসলিম, যুদ্ধবন্দী হোক বা অপরাধের কারণে বন্দী হোক সব রকম বন্দীকে বুঝানো হয়েছে। বন্দী অবস্থায় তাদেরকে খাদ্য দেয়া, মুসলিম কিংবা অমুসলিম, সর্বাবস্থায় একজন অসহায় মানুষকে-যে তার খাবার সংগ্রহের জন্য নিজে কোন চেষ্টা করতে পারে না- খাবার দেয়া অতি বড় সওয়াবের কাজ। [দেখুন: কুরতুবী]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
অমুসলিম দের দান অর্থাৎ শাড়ি কাপড় দেয়া যাবে।
তবে যাকাত হিসেবে দেয়া যাবেনা।
নফল সদকাহ হিসেবে দেয়া যাবে।

(০৪)
এতে আপনার মায়ের গুনাহ হবেনা।

(০৫)
তার মাগফিরাত এর দোয়া করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...