আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম, উস্তায আমার মনে অশ্লীল চিন্তাভাবনা চলে আসে, সেক্সুয়াল৷ আমি আলহামদুলিল্লাহ চোখের হিফাযত করি, নন মাহরামদের সাথে না কথা বলি, না দেখা করি। অশ্লীল ছবিও দেখিনা৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুবই কম বসা হয় এবং সেখানেও বিপরীত জেন্ডারের কেউ নেই। গানও শুনিনা, শুধু মাঝে মাঝে হয়তো কোনো কিছু দেখতে নিলে এদিক সেদিক মিউজিক এসে যায়। বিয়ের জন্য অনেক আগে থেকেই হালালভাবে খোঁজ করা হচ্ছে, এখনো মেলেনি, আল্লহ দিলে যথাসময়ে হয়ে যাবে৷ এ ব্যাপারে দুয়া রাখবেন। আমি কুরআন পড়াসহ অন্যান্য ইবাদাতও বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি, দুয়া ও আমল। কিন্তু সবদিন তো হয়না। আপ ডাউন থাকে৷
যাই হোক, তবুও এমন হচ্ছে আমার৷ আমার চিন্তায় চলে আসে যে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশগুলো স্পর্শ হচ্ছে, কেউ চুমু দিচ্ছে আমায়। আরো গভীর চিন্তা আসছে। আমি নিজেকে টাচ করছিনা শুধু কল্পনাতেই এমন ভাবছি। কিন্তু এই ভাবনার জন্য আমার শরীরে সেক্সুয়াল ফিলিংস আসছে (তবে কিছু নির্গত হয়নি কখনো)।  খুব অস্বস্তিতে ভুগছি আমি৷ চেষ্টা করি নিজের কল্পনাকে কন্ট্রোল করার। কখোনও বা চিন্তার মাঝ পথে পারি, কখনো বা পারিনা। দেখা যায় ভোরে ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে এসব কল্পনা চলে আসছে। ঘুমানোর আগের আমল বা ঘুম থেকে উঠে আমল করলেও কল্পনা আসছে অনেক সময়। এতো খারাপ লাগছে। প্রচন্ড নোংরা লাগে নিজের অন্তরকে। বিশ্রী ফিল হয়।
আলহামদুলিল্লাহ ইবাদাতের সময় এমন ফিলিংস আসেনা৷ কিন্ত, এতে আমার ইবাদাতে বিলম্ব করা হয়ে যায় মাঝে মাঝে।
উস্তায, জানাবেন ইনশাআল্লহ আমি কিভাবে এ থেকে মুক্তি পেতে পারি আর আমার বিয়ে এবং গুনাহ মুক্তির জন্য দুয়া করবেন।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-
জবাবঃ
https://ifatwa.info/50877/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে। 
আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)
একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)
★বেশি বেশি যিকির করতে হবে।
★মাঝে মাঝেই দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে সময় লাগাতে পারেন।
★বেশির ভাগ সময় মসজিদে কাটানোর চেষ্টা করুন।
★নিজের ভিতর থেকে হতাশা সম্পূর্ন ভাবে দূর করে দিন। আলোর পথে আসুন।
★নিজ মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব,মুয়াজ্জিন সাহেব থেকে সাজেশন নেওয়ার চেষ্টা করুন।
তাদের সাথে ফ্রি হয়ে কিভাবে আমলের পথে চলা যায়,সেটা জানুন।
তাদেত সাথেই বেশিরভাগ সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।   
★অসৎ সাথীদের সাথে ঘুরাফেরা বন্ধ করুন।
★যেই জায়গা,যেই কাজ করলেই ঐ বিষয় গুলো মাথায় আসে,সেই জায়গায় যাওয়া সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
★হক্কানী শায়েখদের কাছে যান,তাদের দেওয়া সবক আদায় করতে পারেন।
★কোনোভাবেই একাকী থাকা যাবেনা।
কিভাবে কাহারো সাথে থাকা যায়,সেই ব্যবস্থা করুন।
বিশেষ করে একাকী রাত কোনোভাবেই কাটানো যাবেনা। 
আপনার রুমে অন্য কাহারো থাকা নিশ্চিত করুন।
প্রয়োজন মেসে থাকতে পারেন।  
হাদিসে এসেছে নবী ﷺ কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/৯১)
ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী ﷺ-এর নিষেধ আছে।
★কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার  রাখা যাবেনা,সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে। যথাসম্ভব মাগরিবের পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।
★রাতে খাবার খাওয়ার কমপক্ষে  এক দেড় ঘন্টা পর বিছানায় যাবেন।
★অনৈসলামিক কোনোকিছুই মোবাইল,কম্পিউটারে রাখা যাবেনা।
★নেটে এজাতীয় সাইটে কোনোভাবেই যাওয়া যাবেনা।   
★পাশাপাশি নবী নবী ﷺ-এর নির্দেশিত প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সেটা হচ্ছে– রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে।

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
দ্রুত বিয়ে করার ফিকির করুন। স্থানীয় কোন আলেমের সোহবতে থাকুন ও উল্লেখিত কাজগুলো করতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে গুনাহ থেকে দূরে রাখবেন।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...