আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
296 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
কেনায়া বাক্য দিয়ে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিতে হলেতো নিয়ত লাগে যে আমি আমার স্ত্রীকে নিজের ওপর তালাক নেয়ার অধিকার দিচ্ছি।

১স্বামী যদি রেগে গিয়ে বলে আমারে ভালো না লাগলে যার কাসে ভালো লাগে তার কাসে যা তাহলেকি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে?

২. তোর যা খুশি কর তাহলেকি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেস্বামী অধিকার দেওয়ার নিয়ত না করলেও ?কয় দিনের জন্য পাবে?

৩. স্ত্রী যদি বলে আমি যাবোগা স্বামী যদি বলে তোর মন চাইলে যা না করসে কে অথবা তরে আটকাইসে কে এতে কি তালাকের অধিকার দেওয়া হয় স্ত্রীকে?? তালাকের অস্বীকার দেওয়ার নিয়ত না থাকলেও কি অধিকার পাবে?? পেলে কয়দিনের জন্য অধিকার পাবে?

৪, স্ত্রীর যদি বলে আমাকে ছেড়ে দাও আর স্বামী যদি বলে তোর মন চাইলে তুই তালাক দে বা তাহলেকি  স্ত্রী  তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে স্বামীর অধিকার দেওয়ার নিয়ত না থাকলেও?? কয়দিনের জন্য পাবে??আমার এটা স্পষ্ট মনে নাই। আপনাদের এইখানে একজনের এই ধরণের  প্রশ্ন দেখে মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছে আমি কি অধিকার পেয়ে গেলাম।আমার সাথে কি এমন ঘটনা  ঘটসে । যদি ঘিতে থাকে আমি কি নিজেকে মিথ্যা বুঝ দিচ্ছি মিথ্যা কথা বলছি ঘর বাঁচানোর জন্য। আমার কি গুনা হবে এসব মাথায় ঘুরতেসে
৫, স্ত্রী যদি বলে আমারে ছেড়ে দে আর স্বামী যদি বলে তোর মন চাইলে তুই ছেড়ে দে তাহলেও কি স্ত্রীর অধিকার পেয়ে যাবে স্বামীর অধিকার দেওয়ার নিয়ত না থাকলেও??? কয়দিনের জন্য পাবে???ঘটনা বা কথা আমার স্পষ্ট মনে নাই মনের সন্দেহ থেকে জিজ্ঞেস করছি আপনাদের এখানে দেখেই মনে সন্দেহ হচ্ছে যে আমার কি এমন ঘটনা হইসিলো কিনা স্পষ্ট মনে নাই।
৬.গত ২টা মাস ধরে আমি তালাকের ওয়াসওয়াসায় ভুগছি। কথায় কথায় খালি তালাকের সন্দেহ আসে। আমার বাচ্চাটাকেও যদি বলি আমি যাই তখন ও মনে হয় আমি এটা কোন নিয়তে বললাম  আবার অনেক সময় বাচ্চাটাকে বলি আমি যাই আর মনের মধ্যে আসে আমার নিজের ওপর তালাক। কিন্তু আমিতো আমাকে তালাক দিতে চাইনা এটা অটোমেটিক চলে  আসে।এই ঘটনার  জন্য কি তালাক হওয়ার যাবে??

৭. আমার স্বামীকেও আমি বলতে পারিনা যাও কথাটা। এই যাও শব্দটা আমি তার সামনে উচ্চারণ করতেই ভয় পাই যদি বলি যে নামজে যাও খাইতে যাও বাজারে যাও বাইরে যাও যাই বলি তখনি মনে হয় আমি কি নিয়তে বললাম আবার অনেক সময় স্বামীকে যাও বলার সাথে সাথে আমার মনে আসে আমার নিকের ওপর তালাক। কিন্তু আল্লাহর কসম আমার এই ধরণের ইচ্ছা নাই কোনোদিনই। এটা কিভাবে যেন চলে আসে। এই ঘটনার  জন্য কি তালাক হওয়ার যাবে??

৮। একদিন বাবুকে গোসল করানোর সময় আমার স্বামী দাঁড়িয়ে ছিলো তাকে বলসি তুমি যাও। আমি তাকে বলসি সে যেনো ঐখান থেকে চলে যায় কিন্তু তুই যাও বলার সাথে সাথেই আমার মনের মধ্যে নিজের ওপর তালাক কথাটা চলে আসছে। আমারতো তালাকের নিয়ত ইচ্ছাই ছিলোনা। এটা কি তালাক হয়ে গেছে?

৯. একদিন খাবার  টেবিলে আমার স্বামী জিজ্ঞেস করসে লেবু ফেলে দিবে কিনা আমি ফেলে দাও বলতে গিয়েও বলিনি  যদি এটা কেনায়া হয়ে যায় সেই ভয়ে। আমি বলসি শেষতো। সেসতো বলসি এটা বুঝাতে যে লেবু শেষ ফেলে দাও। কিন্তু সেসতো বলার পর সাথে সাথে মনে আসে আমার নিজের ওপর তালাক। হুজুর এই তালাকের ইচ্ছা আমার নাই কিন্তু এটাই আসে মনে  বার বার। এভাবে কি তালাক হয়ে গেছে??

১০. একদিন আমার স্বামীর সাথে  রাগ করে আমি শুয়ে কাঁদতেসিলাম। সে আমার গায়ে হাত দিসিলো আমার রাগ ভাঙাইতে আমি তার হাত টা সরাইদিসি আর বলসি সর। সাথে সাথে মনের মধ্যে আসে আমার নিজের ওপর তালাক। কিন্তু আমার তো এই তালাক নেয়ার কোনো ইচ্ছা নাই। প্রতিটা কথায় এমন নিজের ওপর তালাক কথাটা  চলে আসে অথচ  তালাকের বিন্দু মাত্র ইচ্ছা আমার মনে মধ্যে নাই।এভাবে কি তালাক হয়??আমি আমার স্বামীকে অনেক ভালোবাসি তার সাথে থাকতে চাই কিন্তু কথায় কথায় নিজের ওপর তালাক বেপারটা মনের মধ্যে চলে আসে। আল্লাহর কসম হুজুর আমার এই ইচ্ছা নাই।

আমি আমার স্বামীকে যাও কথাটা ভয়ে বকতে পারিনা। ওর সাথে ভয়ে কোথাও কম বলি বা অনেক ভেবে ভেবে উত্তর দেই জেঁকে নিজের ওপর তালাক কথাটা  মনে না আসে তবুও চলেই আসে। এমন অনেক ঘটনা  আছে যে আমি বলসি আমি যাই বা তুমি যাও বা আমার ছেলেকে বলসি আমি গেলামগা আর মনের মধ্যে আসে আমার নিজের ওপর তালাক। অথচ  এসব ইচ্ছা আমার নাই। আমার কি এভাবে তালাক। হয়ে যাবে???আমার স্বামীতো আমাকে তালাকের অধিকার ও দেয়নি।

গত ২ ৩ মাস ধরে তালাকের ওয়াসওয়াসায় আমি পাগল প্রায়। একটার সমাধান পেলে আরেকটা প্রশ্ন মাথায়  ঘুরে

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রেও স্বামী তালাকের অধিকার পাবেনা।

(০৩)
স্বামী তালাকের বিষয়ে নিয়ত না করলে স্ত্রী এক্ষেত্রে তালাকের অধিকার পাবেনা।

(০৪)
স্ত্রীর যদি বলে আমাকে ছেড়ে দাও আর স্বামী যদি বলে তোর মন চাইলে তুই তালাক দে,তাহলে  স্ত্রী  তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে। স্বামীর অধিকার দেওয়ার নিয়ত না থাকলেও স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে।

এখানে স্ত্রীকে যে স্বামী তালাক দিতে বলেছে,এক্ষেত্রে স্বামী যদি কোনো সময় বা মজলিসের সাথে বিষয়টি যুক্তের নিয়ত না করে,তাহলে স্ত্রী তালাক প্রদানের পাগ পর্যন্ত তালাকের ক্ষমতা পেয়ে থাকবে।

(০৫)
সন্দেহ হলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।
আর বিষয়টি নিশ্চিত হলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে 

(০৬)
এই ঘটনার  জন্য তালাক হওয়ার যাবেনা।

(০৭)
এই ঘটনার  জন্য তালাক হওয়ার যাবেনা।

(০৮)
এতে তালাক হয়ে যাবেনা।

(০৯)
এতে তালাক হয়ে যায়নি।

(১০)
এতে তালাক হবেনা।  আপনি নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...