জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকানোর ফলে বীর্যপাত ঘটেছে, তার কি রোযা ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোযা পূর্ণ করবে।’
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯)
إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475، وكذا فى الهندية-1/205، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، كتاب الصوم(
সারমর্মঃ
রোযাদার যদি নিজ লিঙ্গকে চেষ্টা (মৈথুন) করে,তাতে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়,তাহলে রোযার কাজা আদায় করা ওয়াজিব হবে।
আরো জানুনঃ-
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাতের স্পর্শ ছাড়া শুধু কথা বলার দ্বারা স্বামী বা স্ত্রীর বীর্যপাত হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(০২)
ইচ্ছাকৃতভাবে লিঙ্গকে শরীর, কাপড় বা অন্য যেকোনো কিছুর সাথে স্পর্শ করে বীর্যপাত করকে সেটিকেও মৈথুন বলা হবে।
এতে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ছুরতে যেহেতু অন্য কিছুর সহায়তা নেয়া হয়েছে,সুতরাং এক্ষেত্রে বীর্যপাত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
(০৩)
যখন বীর্যপাত হয়েছে,তখন যদি বীর্যপাতে হস্তমৈথুনের কোনো আছড় বা ক্রিয়া না থাকে,হস্তমৈথুনের পর উত্তেজনা শেষ হয়ে গেলে পরবর্তীতে সম্পূর্ণভাবে অন্য কিছু চিন্তার কারনেই বীর্যপাত হয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
আর যদি হস্তমৈথুনের পর উত্তেজনা শেষ হওয়ার পূর্বেই অন্য কিছু চিন্তার কারনেই বীর্যপাত হয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
কেননা এখানে সেই হস্তমৈথুনের আছড় বা ক্রিয়া আছে।
(০৪)
আপনি উদাহরণ স্বরুপ এভাবে নিয়ত করবেন যে আমার জীবনের সর্বশেষ জোহরের নামাজ যেটা কাজা হয়েছে,সেটি আদায় করছি।
(০৫)
হ্যাঁ, নামাজ ভেঙ্গে যাবে।