ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুদ হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা-২)
সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি
كل قرض جر نفعا فهو ربا
প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/59831
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে করা লেনদেনের ক্ষেত্রে ০% ইন্টারেস্টে যদি কিস্তি করা হয় ৬ মাস বা ১২ মাসের হয়, তাহলে এতে গুনাহ্ হবে না। কেননা এতে ০% হওয়ার কারণে সুদ হচ্ছে না।
এমন কিস্তির ঋণ যদি থাকে, তাহলে ওই ঋণ থাকা অবস্থায় উমরাহ করা যাবে।
(২)
নগদ বা বিকাশের লেনদেন হালাল হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে যে ১৫/২০ টাকা চার্জ দিতে হয়, ওটা দিলে গুনাহ্ হবে না।কেননা এটা সুদ নয় বরং এটা সার্ভিস চার্জ।