আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

আমি একটি সুদি প্রাইভেট  ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।আমি চাই এই চাকরি ছেড়ে দিয়ে হালাল ভাবে ব্যাবসা করতে।আমার কাছে এখন ব্যাংক থেকে উপার্জিত ১০ লাখ টাকা আছে

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে..

(১)এতদিন আমি যেই টাকা গুলো ইনকাম করেছি ব্যাংক থেকে বেতন হিসেবে।আমি চাকরি ছেড়ে দিলে এগুলো আমার জন্য হালাল হবে কিনা?

(২) এই ১০ লাখ টাকা গুলো আমি ভোগ করতে পারবো? যদি আমার অন্য কোন উপার্জনের মাধ্যেম না থাকে?

(৩) ব্যাংক থেকে বেতন নিয়ে কিনা আমার গাড়ি,আসবাবপত্র কাপড় এগুলা কি আমি ব্যাবহার করতে পারবো?ব্যাবহার করলে কী ইবাদত কবুল হবে?

(৪) এই টাকা গুলো দিয়ে আমি ব্যাবসা করতে পারবো?ব্যবসা করলে মুলধন + প্রফিট দুইটাই কী হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হারাম মূল দ্বারা যদি কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনের তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/53560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)এতদিন আপনি যত টাকা ব্যাংক থেকে বেতন হিসেবে ইনকাম করেছেন।আপনি চাকরি ছেড়ে দিলে সেই টাকা আপনার জন্য হালাল হবে না।

(২) এই ১০ লাখ টাকা আপনি ভোগ করতে পারবেন না। যদি আপনার অন্য কোন উপার্জনের মাধ্যেম না থাকে, তাহলেও ঐ টাকা আপনি ভোগ করতে পারবেন না।হ্যা, আপনি যদি না জেনে না বুঝে ঐ টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে নেন, তাহলে আপনার জন্য ব্যবসার মুনাফা জায়েয হবে কিন্তু মুলধন সর্বদাই হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে।ঐ মূলধনকে অবশ্যই সদকাহ করতে হবে।

(৩) ব্যাংক থেকে বেতন নিয়ে ক্রয় করা আপনার যাবতীয় জিনিষপত্র তথা আপনার গাড়ি,আসবাবপত্র কাপড় এগুলো আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন না।ব্যবহার করলে আপনার ইবাদত কবুল হবে না।

(৪) এই টাকা দিয়ে ব্যাবসা না করাই উত্তম। তবে এছাড়া আর কোনো রাস্তা না থাকলে, আপনার জন্য রুখসত থাকবে। তবে মূলধনকে এক সময় অবশ্যই সদকাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...