আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার করা পূর্বের প্রশ্ন ও তার উত্তরের লিংক নিম্নে দেওয়া হলো, পরবর্তী প্রশ্নোত্তরের সুবিধার্থে -
https://ifatwa.info/60206/?show=60237#a60237
মুহতরাম, উস্তাদ,উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলছেন, যদি ঐ ভাগ্নে দেখে / বুঝতে পারে যে তার চেয়ে কম যোগ্যতার কেও চান্স পেয়ে যাচ্ছে/ চাকরি পেয়ে যাচ্ছে, তাহলে এই অবস্থায় সে টাকার বিনিময়ে অর্থাৎ, ঘোষ দিতে পারবে। এবং, তা না হলে, এ ব্যাতিত যারা সম্পৃক্ত থাকবে তারা গুনাহের ভাগীদার হবে।
উস্তাদ আমার প্রশ্ন হলো -১) বাংলাদেশে বর্তমানে বিশেষ করে, সরকারি চাকরি মানেই মামা চাচার মাধ্যমে চাকরি নেওয়া,
এক্ষেত্রে যারা ই সরকারি চাকরি করে বলতে গেলে সবাই ই এভাবে মামা চাচার মাধ্যমে, কিছু টাকা দিয়ে চাকরি পাচ্ছে।
তাহলে, আমার হাসব্যান্ড এর যে ভাগ্নে, সে কি করে ঐটা যাচাই করবে যে ওর থেকে কম বা বেশি যোগ্যতার কেউ চাকরি পেয়ে বা নিয়ে যাচ্ছে কিনা??
২) ঘোষ তো কোনো ভালো কিছু নয়, যদি এমন মজলুম অবস্থা ও হয়, সেক্ষেত্রে যার সামর্থ্য আছে সে ই কেবল ওই টাকা দিতে পারবে, কিন্তু যে গরীব সে তো চাইলেও দিতে পারবে না। তাহলে এখানে ভারসাম্যহীনতা হচ্ছে না??
৩) উস্তাদ, যে ক্ষেত্রে ঘোষ দেওয়া জায়েজ বলেছেন, আমার কথা হচ্ছে, এইটা তো ভালো কাজ না। তাহলে আমি বা কেও যখন ঘোষ দিচ্ছে, এটা কী অন্যায়ের প্রশ্রয় দেওয়া হলো না?
মুসলিম হিসেবে, আমাদের তো সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দিতে বলা হয়েছে, আর বাধা না দিতে পারলে নিজেকে তা থেকে দূরে রাখতে বলা হয়েছে। তাহলে, করণীয় কি??
৪) উল্লেখিত হালাতে, ঐ ভাগ্নে অলরেডি চাকরি করছে, তার উপর সে শুধুমাত্র সরকারি চাকরির জন্য ঘোষ দিয়ে চাকরি নেওয়া টা কতটা শরিয়ার ভিত্তিতে সঠিক?
৫) আমার হাসব্যান্ড টাকা না নিলেও, উনার যে বন্ধুর মাধ্যমে চাকরির লিংক টা হবে, ফাইনালি লাস্ট পারসন পর্যন্ত যতজন এই ঘোষের টাকা নিবে তাদের টাকা কী হালাল হবে??
৬) নেট/ ওয়াইফাই ব্যাবসা করা শরিয়ার ভিত্তিতে হালাল নাকি হারাম??
উস্তাদ অনেক প্রশ্ন করে ফেললাম। আফোয়ান।
জরুরী ভিত্তিতে কষ্ট করে উত্তর দিলে মুনাসিব হয়, ইং শা আল্লাহ্।