আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।

 ১।একজন একটি গ্রুপে প্রশ্ন করসেন যে তার স্বামী তাকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন সময়ে বলসে যে  তুমি অন্যত্র বিয়ে করো, তো সম্মনিত মুফতি সাহেব যিনি আবার জনপ্রিয় ও বিখ্যাত (নাম উল্লেখ করলাম না)তিনি বললেন যে প্রত্যেকবার বলার সময় যদি তালাকের নিয়ত করে থাকে সব মিলাই ৩ তালাক হয়ে মুগাল্লাজা হয়ে গেসে।  তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে কিনায়া তালাক দিলে বায়েন তালাক হয়, আর বায়েন তালাকের পর আর কোন কিনায়া তালাক দিয়ে তালাক হয়না, সরিহ দিলে হয় ইদ্দতের মধ্যে,  পরে না, এইটাই আমি বিভিন্ন গ্রুপে দেখেছি পড়ে, তাহলে তো " তুমি অন্যত্র বিয়ে করো" তালাকের নিয়তে বললে একেবারেই বায়েন হবে,  অন্যগুলো যোগ হবেনা। তাহলে কয় তালাক হবে।
২. কিনায়া তালাকের নিয়ত জিনিসটা নিয়ে অনেক কনফিউশান এ আছি, কিনায়া শব্দ বলার সময় হালকা ইংগিত থাকা না দৃঢ় ইচ্ছা থাকা?  এটা নিয়ে বিস্তারিত বুঝা যাওয়ার জন্য কোন রেফারেন্স দিবেন?
জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/40253/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক খুবই মারাত্মক । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৩৭৭ তে আছেঃ-

الطَّلَاقُ الصَّرِيحُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ طَلْقَةٌ، ثُمَّ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ تَقَعُ أُخْرَى، وَيَلْحَقُ الْبَائِنُ أَيْضًا بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ أَوْ خَالَعَهَا عَلَى مَالٍ، ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ عِنْدَنَا، وَالطَّلَاقُ الْبَائِنُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ تَقَعُ طَلْقَةٌ أُخْرَى، وَلَايَلْحَقُ الْبَائِنُ الْبَائِنَ". ( ١ / ٣٧٧)
সারমর্মঃ
স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তার সাথে পুনরায়  স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যমেও তালাক যুক্ত করা যায়।
অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তারপর স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,তবে অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়না।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এক তালাকে বায়েন পতিত হলে ইদ্দতের পরে কোনো তালাক পতিত হবেনা।
তবে ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবে।
তবে অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবেনা।     

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের নিয়তে " তুমি অন্যত্র বিয়ে করো" বললে,এক্ষেত্রে দেখতে হবে যে স্বামীর কয় তালাক প্রদানের নিয়ত ছিলো? ১ তালাক? নাকি ২ তালাক? নাকি ৩ তালাক?

যেই সংখ্যার নিয়ত থাকবে,সে কয় তালাকই পতিত হবে।
তবে তার যদি কোনো সংখ্যার নিয়ত না থাকে,শুধু তালাকের নিয়ত থাকে,তাহলে এক তালাকই পতিত হবে। 

(০২)
উদাহরণস্বরূপ কেহ কেহ তালাক প্রদানের নিয়তে স্ত্রীকে বলে "তুমি বের হয়ে যাও" "তুমি বিচ্ছিন্ন" ইত্যাদি। 

এক্ষেত্রে উক্ত বাক্য গুলি বলার সময় স্বামীর মনে তালাক প্রদানের উদ্দেশ্য থাকলে তালাক হবে।

আর তালাক প্রদানের উদ্দেশ্য না থাকলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...