আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আমার ওয়াসওয়াসা এমন আসতো যেনআমি ঐ ছেলেকে বলছি আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান না। আপনার তো কবুল বলার সাহস নাই। এই কথায় ঐ ছেলে কি বলছে প্রথম প্রথম কনফিউজড থাকতাম আসলেও এমন সিচুয়েশন হইছে কি না তাও শিওর ছিলাম না। পরে শিওর হইছি এমন সিচুয়েশন হয় নাই পুরোটাই কল্পনা। ঐ ছেলে সব সময় বলতো এখন আমার বিয়ে করা সম্ভব না এটা শিওর। আমার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার পর এমন ওয়াসা আসা শুরু হয় এসব প্রশ্নই করতাম অনেককে যে এই প্রশ্নের উত্তরে ছেলেটা যদি কবুল এখন আমার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না এমন কথা বললে কি হতো। কিন্তু এখন একদম শিওর যে এটা আমার ওয়াসওয়াসা এমন কোন সিচুয়েশন হয় নাই। ঐ ছেলে সব সময় আমাকে বলতো বিয়ে করা সম্ভব না এটা শিওর। এখন এসব প্রশ্ন যাদের কাছে করতাম তারা কি উত্তর দিছে আমার মনে নাই। তবে ঠান্ডা মাথায় মনে করলে মনে হয় যাদের কাছে প্রশ্ন করেছি তারা সবাই বলছে এভাবে বিয়ে হয় না। এখন আমার এমন প্রশ্নে তাদের উত্তর হ্যা বা না বা অন্য কিছু হলে ও কি আমার এখন কার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে?

(২) আমার হাসবেন্ড খুব ভাল এবং দ্বীনদার। চাকরি  জীবি, তার মা সরকারি চাকরি জীবি, বাবা কিছু করেন না। কিন্তু আমার শ্বশুর শাশুড়ীর মন মাসিকতা খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে ছোট। তারা কৃপন। তবে আমার স্বামী কৃপন নন৷ আর আমার বাবা কিছু করেন না। আমার মা আমার স্বামী এবং তার ভাই এবং আমার আরেক বোনের স্বামীর টাকায় চলেন আর আমার বাবা এখন অল্প কিছু টাকা দেন ৷ আমার বিয়ের আগে আমারা মামার টাকায় চলতাম মামা বাড়ি থাকতাম। আমি অনেক রেগে গিয়ে মা বলেছি ওদের ফ্যামিলি ভাল না। বিয়ের আগে ফ্যামিলি দেখা উচিত ছিল আসলে ওদের মনমানসিকতা আচরণের উপর কথা টা বলেছি৷ আমার স্বামীর সাথে কি আমার কুফুর সমতা হয়েছে? আমার উক্ত কথায় আমার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম সম্যসা হবে কি? আপনাদের ওয়েবসাইটের একটা প্রশ্ন উত্তরে পড়লাম কুফুর সমতা না হলে নাকি মেয়ে বা মেয়ের অভিভাবক বিয়ে কাজীর কাছে গিয়ে ফসেক করতে পারে। আমার ওয়াস ওয়াসা আছে তো আমার স্বামী আমাকে তালাকের অধিকার দেয় নাই। তারপর ও জানার জন্য প্রশ্ন করলাম। কুফুর সমতা থাকলে কি মেয়ে বা মেয়ের অভিভাবক কাজীর কাছে গিয়ে বিয়ে ফসেক করতে পারে?

(3) স্ত্রী ফোনে কথা বলার সময় অন্য মেয়ের গলা শুনতে পায়।। সে স্বামী কে জিজ্ঞেস করে স্বামী বলে তোমার সতীন এইজন্যই তো তোমাকে আনতে চাই না ( স্ত্রী তার মায়ের কাছ)) স্বামীর কোন নিয়ত ছিল না। স্ত্রী উত্তরে বলছে আনার দরকার নাই স্ত্রীর এমন কথায় কি কোন সম্যসা হবে সংসারে? স্ত্রীর কোন অধিকার নেই তালাকের। জানার জন্য প্রশ্ন স্ত্রীর  তালাকের  অধিকার দেয় নাই। স্ত্রীর তালাকের নিয়তে বলা কোন কথায় কি কোন তালাক হয়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
(০১)
আপনার এমন প্রশ্নে তাদের উত্তর হ্যা বা না বা অন্য কিছু হলেও আপনার এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
কুফুর সমতা থাকলে মেয়ের অভিভাবক আলাদতের কাছে গিয়ে বিয়ে ফসখ করতে পারেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার উক্ত কথায় আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম সমস্যা হবেনা।

আপনার বাবা তো আদালতের মাধ্যমে বিবাহ ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করেনি,সুতরাং এখন কুফুর বিষয় নিয়ে ভাবার প্রয়োজনীয়তা নেই।

উল্লেখ্য যে, পাত্র পাত্রীর মাঝে চার বিষয়ে সমতা হলে কুফু মিলেছে বলা হবে।
১. ধন-সম্পদ, 
২. বংশ-মর্যাদা, 
৩. রূপ-সৌন্দর্য,  
৪. ধর্মভীরু তথা দ্বীনদারিত্ব। 

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

(০৩)
স্ত্রীর এমন কথায় সংসারে কোন সমস্যা হবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত স্ত্রীর তালাকের নিয়তে বলা কোন কথায় কোন তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...