আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম,
শায়েখ আপনারা বলেছেন রেফারেন্স না থাকলে যে কোন বই থেকে লেখা তাহলে সে গাইড পড়া যাবে না।
১.পাঞ্জেরি প্রকাশনীর টেস্ট পেপারে এর উত্তর লেখা রচনা ও সম্পাদনা করেছেন দেশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক প্যানেল। আবার সেই বইটির ও সত্ত্ব সংরক্ষিত। কিন্তু তারা কোন বইয়ের সাহায্য নিয়েছেন কিনা সেটা বলেননি। তাহলে এমন হতে পারে না যে শিক্ষক রা নিজে থেকে শিখে তারপর লিখেছেন? যাই হোক সেই বই পড়া কি নাজায়েজ?( আমি উক্ত বিষয় এর কোন মূল বই কিনিনি কারণ, সেখানে মূল অংশ অনেকটাই পড়া হয়ে যায়।)

২. যদি নাজায়েজ হয় তাহলে সেটা পড়ে পরীক্ষা দিলে কি শিক্ষা বা পরীক্ষা দেয়া কি হারাম? না শুধু পড়ার জন্য গুনাহ হবে?
৩. হারাম উপার্জন দিয়ে লেখাপড়া করলে শিক্ষা হারাম না হলেও সে অর্থ সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান না করা পরজন্ত গুনাহ থাকবে। কিন্তু এ সময় যে পরীক্ষা দিব সেটা ভালো হওয়ার জন্য দোয়া করা কি ভুল?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/8611/ নং ফাতওয়াতে বলেছি যে,

আবিস্কার লেখা ও প্রকাশনা সত্ত্বকে কি ইসলামী শরীয়ত সত্ত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

 

এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর হল এই যে,

যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম কোনো জিনিষ আবিস্কার করেছে,তার আবিস্কৃত জিনিষ অস্তিত্বমান বস্তু হোক বা অস্তিত্বহীন, নিঃসন্দেহে সেইব্যক্তি অন্যের তুলনায় তা থেকে উপকৃত হওয়ার, প্রস্তুত করার এবং মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার বেশী অধিকারী। কেননা, আবু দাউদ শরীফে হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি।এ সময় নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,' যে ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর হয় নাই,তাহলে ওই বস্তু ওই ব্যক্তির। (যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।) আবু-দাউদ:৪/২৬৪ হাদীস নং২৯৪৭)

 

আল্লামা মুনাবী রাহ[আব্দুর রউফ আল মুনাবী, মৃত্যু:১০৩১হি,] যদিও এই হাদীসটিকে পতিত ও অনাবাদী জমিন ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলার অর্থে প্রয়োগের বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছেন, তথাপি তিনি কোনো কেনো উলামায়ে কেরাম থেকে এ বর্ণনাও উদ্ধৃত করেছেন যে,এই হাদীসটির মর্মে যাবতীয় ঝরণা, কূপ এবং খণিজসম্পদ অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি এসবের কোনো একটিতে প্রথম অগ্রসর হবে,ওই জিনিসটির সত্ত্বাধিকারী ওই ব্যক্তিই সাব্যস্ত হবে।এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে,যে কোনো বাক্যে শব্দের ব্যাপকতাই গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে, তা কোনো নির্দিষ্ট কারণের প্রেক্ষিতে বলা হলেও সেই কারণের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ হয় না। (ফায়জুল কাদীর:৬/১৩৮)

 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে, কোনো কিতাব নতুন হোক বা পুরাতন হোক,সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো কপি করা যাবে না। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

আরো জানুন- https://ifatwa.info/13820/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. কোনো কিতাবের হুবহু কপি নাজায়েয ও হারাম। তবে উদ্ধৃতি নাজায়েয হবে না। সুতরাং উদ্ধৃতি সহকারে গাইড বই লিখা ও ক্রয় করে পড়া কোনোটাই নাজায়েয হবে না। আবার যদি  গাইডটি কোনো একটা বই অনুসরণ করেই লেখা হয়ে থাকে। তাই একবার রেফারেন্স দেওয়ার পর আর তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারন সবগুলো মূল বই বা কোনো একটা বইয়ের অনুসরণ করেই লেখা। তাই তা পড়া জায়েজ আছে। শিক্ষা অর্জন করাও জায়েজ আছে।

 

২. না, সেটা পড়ে পরীক্ষা দিলে শিক্ষা ও পরীক্ষা হারাম হবে না। বরং পড়াটা ও ক্রয়-বিক্রয় করাটা নাজায়েজ হবে। যদি বাস্তবেই তারা কোনো কিতাব সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো কপি করে থাকে। আর যদি কলেজের শিক্ষক প্যানেলগণ তারা কোনো বইয়ের হুবহু কপি না করে নিজেদের পক্ষ থেকে লিপিবদ্ধ করে থাকেন বা কিছুটা কম-বেশী করে লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাহলে তো সেটা পড়তে ও ক্রয়-বিক্রয় করতে কোনো সমস্যাই নেই।

৩. জ্বী হ্যাঁ, ঐ পরীক্ষা ভালো হওয়ার জন্য দুআ করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...