আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. বিদাত কারির জন্য কি রাসুলুল্লাহ সাঃ সুপারিশ করবেন না?

২. তাহলে বিদাত কারি কি  মহান  আল্লাহর ক্ষমা পাবে না?

৩. গান শুনা,নাচ গান দেখা গুনাহ,কিন্তু এগুলা কি বিদাত?

৪. কোন খুশির ঘটনা ঘটলে, আত্তিয় স্বজন কে খাবার খাওয়াণো কি বিদাত?

৫.বিদাত করেও কি কোন মানুষ আল্লাহর ক্ষমা আশা করতে পারে?

৬. ফজরের নামাজ কাজা হয়ে গেলে বুঝব আমি অনেক বর পাপি?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

শরীয়তের বিধান হলো যে পদ্ধতিতে কোন ইবাদত খাইরুল কুরুনে আদায় করা হতো না, সেটিকে জরুরী মনে করে বা একমাত্র পদ্ধতি মনে করে, বা আবশ্যকীয় পদ্ধতি বানিয়ে উক্ত ইবাদত করাও বিদআতের শামিল।

 

রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ

‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’

 

হাদিস শরীফে এসেছে-

وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»

তরজমা- প্রত্যেক নবসৃষ্টই বিদআত(আবু-দাউদ হাদিস নং৪৬০৭-লম্বা হাদিসের অংশ বিশেষ)

উক্ত হাদিসের ব্যখ্যায় বিদআতের আলোচনা করতে যেয়ে আব্দুর রহমান মোবারকপুরি রাহ বলেন-

والمراد بالبدعة ما أحدث في الدين ما لا أصل له في الشريعة يدل عليه)مراعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح -ج1ص264(

তরজমা- বিদআত দ্বারা উদ্দেশ্য হল, দ্বীনের মধ্যে এমন কোনো জিনিষ নবআবিস্কৃত হওয়া, যাকে শরীয়তের মূলনীতি সমর্থন দেয়না।

 

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

সাহল ইবন সা’দ (রা) ও অন্যান্য সাহাবী বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ () বলেন:

إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ مَنْ مَرَّ عَلَيَّ شَرِبَ وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ، فَأَقُولُ: إِنَّهُمْ مِنِّي فَيُقَالُ إِنَّكَ لا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ (في رواية: إِنَّكَ لا تَدْرِي مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ)، فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ غَيَّرَ بَعْدِي.

আমি তোমাদের আগে হাউযে গিয়ে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করব। যে আমার কাছে যাবে সে (হাউয) থেকে পান করবে, আর যে পান করবে সে আর কখনো পিপাসার্ত হবে না। অনেক মানুষ আমার কাছে (হাউযে পানি পানের জন্য) আসবে, যাদেরকে আমি চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে, কিন্তু তাদেরকে আমার কাছে আসতে দেওয়া হবে না, বাধা দেওয়া হবে। আমি বলব: এরা তো আমারই উম্মত। তখন উত্তরে বলা হবে : আপনি জানেন না, এরা আপনার পরে কী-সব নব উদ্ভাবন করেছিল। (দ্বিতীয় বর্ণনায় : আপনার পরে তারা কী আমল করেছে তা আপনি জানেন না।) তখন আমি বলব: যারা আমার পরে (আমার দ্বীনকে) পরিবর্তিত করেছে তারা দূর হয়ে যাক, তারা দূর হয়ে যাক!’’ [সহীহ বুখারী, ৫/২৪০৬]

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১-২. কিছু বিদআত আছে যা শিরক বা কুফরী পর্যন্ত নিয়ে যায়। অর্থাৎ বিদআতকারী মুশরিক বা কাফের হয়ে যায়। সুতরাং কেউ যদি এমন বিদআত করে থাকে যার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে তার জন্য রাসূল সা. সুপারিশ করবেন না এবং এই প্রকার বিদআতকারীকে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন না যদি সে তওবা করা ছাড়া মারা যায়।

 

৩. জ্বী হ্যাঁ, গান শোনা, নাচ গান দেখা এটা অনেক বড় গোনাহের কাজ। তবে বিদআত নয়।

৪. কোনো খুশীর ঘটনা ঘটলে আনন্দে আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়ালে এটা বিদআত হবে না।

৫. কেউ যদি এমন বিদআত করে থাকে যার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এমন ব্যক্তি তওবা করা ছাড়া ক্ষমা পাবে না।

৬. আপনি চেষ্টা করবেন যাতে করে ফজরের নামাজ কাযা না হয়ে যায়। কারণ, এটা একটি ফরজ বিধান। না পড়লে অনেক অনেক গোনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 79 views
...