বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কথায় কথায় কসম করা, বিনা প্রয়োজনে কসম করা এ সবকিছুই ঠিক নয়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْكَبَائِرُ الإِشْرَاكُ بِاللهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَقَتْلُ النَّفْسِ وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- কবীরা গুনাহসমূহ হচ্ছে, আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা। পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করা এবং মিথ্যা কসম খাওয়া। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬৭৫) [৬৮৭০, ৬৯২০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২১৯)
আর কসম করার প্রয়োজন দেখা দিলে শুধু আল্লাহর নামেই কসম করবে। অন্য কারো বা কিছুর নামে কসম করা জায়েয নয়।
হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَدْرَكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَهُوَ يَسِيرُ فِي رَكْبٍ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ فَقَالَ أَلاَ إِنَّ اللهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ مَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللهِ أَوْ لِيَصْمُتْ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- জেনে রাখ, আল্লাহ তোমাদের নিজের পিতার নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। যদি কসম করতেই হয় তবে যেন আল্লাহর নামেই কসম করে। নতুবা চুপ করে থাকে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬৪৬)[২৬৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৯১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাজটি উচিত নয়,এটি বলা উচিত ছিলো।
খারাপ বলা ঠিক হয়নি।
এর দরুন তওবা করলেই হবে,অন্য কিছু করতে হবেনা।
(০২)
এভাবে হক আদায়ের নিয়তে পণ্য দিয়ে দিলে হক আদায় হবে।
এবং এরকমভাবে যাদেরকে কম পণ্য দেয়া হয়েছে। তাদেরকে টাকা না দিয়ে সেই পণ্য দিয়ে হক আদায় করা যাবে।
আবার যাদেরকে টাকা দিলে নিত, কিন্তু আপনি তাদেরকে যদি সেই পণ্য দেন, তাহলে হক আদায় হবে।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে জিনিসটি তাকে না দিলে আপনার গোনাহ হবেনা,হক নষ্ট করাও হবেনা।
(০৪)
এই কম বেশি নেওয়া জায়েজ আছে।
এটি আপনার একান্তই নিজস্ব ব্যপার,আপনি চাইলে কাউকে ফ্রিতেও দিতে পারে, কেননা এটি আপনার মালিকানা,আপনার এতে নিজস্ব ইখতিয়ার রয়েছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই কম বেশি নেওয়া জায়েজ আছে।
আপনি যার থেকে বেশি টাকা নিচ্ছেন, তাকে কম বেশি টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি জানানো বাধ্যতামূলক নয়।
(০৫)
এরুপ ক্রয় বিক্রয় ক্রেতা এবং বিক্রেতার জন্য জায়েজ আছে।
(০৬)
এরূপ কথায় ঈমানের ক্ষতি হবেনা।
তবে মুসলিমদের জন্য এরকম কথা বলা অনুচিত।
(০৭)
এক্ষেত্রে যে উপহার কিংবা ধার দিল সে সওয়াব পাবে।
বই উপহার দেয়া সদকায়ে জারিয়া নয়।
তবে কাউকে সদকার নিয়তে কোনো ইসলামী বই দিলে সেটি সদকায়ে জারিয়াহ হবে।
(০৮)
এক্ষেত্রে যেহেতু শুধু নিয়ত করা হয়েছে,কাউকে বলা হয়নি,তাই এতে গুনাহ হবেনা।
(০৯)
কোনো মানুষের হক নষ্ট করা মানে কি সেই মানুষের কাছে ঋণী থাকার মতোই।
সেটি আর্থিক ভাবে হলে আর্থিক ঋণী হবে,আর ব্যবহার গত কষ্ট দেয়া হলে সেরকম ঋণী হবে।
মাফ চেয়ে নিতে হবে।
(১০)
আগে থেকেই মিটিয়ে নেয়াই ইসলাম শিক্ষা দেয়।
যাতে করে পরবর্তীতে ঝগড়াঝাটি না হয়।
,
তবে ভাড়া যদি চালক ও যাতায়াত কারী উভয়েই জানে,শেষে টাকা দেয়ার সময় যদি ঝগড়াঝাটি না হয়,
তাহলে না বলে নিলেও সমস্যা নেই।