জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রয়োজনে উপস্থিত থাকা যাবে।
তবে টিভির দিকে নজর দেয়া যাবেনা।
গান ইত্যাদির আওয়াজ থেকে অন্য দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
গান ইত্যাদির আওয়াজের দিকে যেনো কান না যায়,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছে,
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)বিস্তারিত জানুন-
মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।বৈধ বিনোধন সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/673
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও খেলা দেখা জায়েজ নেই।
এতে নাজায়েজ কাজ করার গুনাহ হবে।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
খেলা দেখার ক্ষেত্রে খেলায় যেহেতু বাদ্য-বাজনার ব্যবহার হয়,অনেক সময় মহিলাদের দেখানো হয়,এই খেলার নেশায় অনেকে ইবাদত থেকে গাফেল থাকে,এটি নামাজ ইত্যাদিতেও স্বরন আসে,হারাম এই খেলায় নিজ দল জিতলে অন্তর খুশি হয়,হারলে অন্তরে ব্যাথা লাগে, সর্বপরি জুয়ার ভিত্তিতে এই খেলা দেখা সেটিকে সমর্থন ও সহযোগিতা বুঝায়।
তাই খেলা দেখা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
(০৩)
জায়েজ নেই।
(০৪)
সেই গল্প পড়া জায়েজ আছে।
তবে ভূল মাসয়ালার উপর আমল করা যাবেনা।
(০৫)
উক্ত গল্প পড়া জায়েজ আছে।
তবে ভূল মাসয়ালার উপর আমল করা যাবেনা।
(০৬)
ফরজ।
(০৭)
শীয়াবে আবি তালিবে রাসুলুল্লাহ সাঃ ৩ বছর অবরুদ্ধ ছিলেন।
সেটিকে অনেকে জেল বলে আখ্যায়িত করে "রাসুলুল্লাহ সাঃ জেলখানায় ছিলেন" বলে থাকেন।
(০৮)
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের তত্তাবধানে থেকে এমনটি করলে সুন্নাহ পালন হবে,ইনশাআল্লাহ।
(০৯)
ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে কুরআন সুন্নাহ ইজমা কিয়াসকে সামনে রেখে মুজতাহিদ পর্যায়ের উলামাদের গবেষণাকে ইজতিহাদ বলা হয়। ইসলামি আইনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ইজতিহাদের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরো জানুনঃ-
(১০)
আপনি ইচ্ছা করে তাকে দেখার সুযোগ করে দিলে,নিষেধ না করলে আপনারও গুনাহ হবে।
আর যদি আপনি নিষেধ করেন,তাহলে আপনার গুনাহ হবেনা।