আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
274 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমরা জানি, জেনে-বুঝে কেউ যদি হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যায়।
কিন্ত, দ্বীনি ইলম না থাকার কারনে যদি কেউ মূর্তি বানানোকে বৈধ(হালাল) মনে করে, তখন তাকে কোন দলিলের আলোকে কাফের বলা হবে?
(বি.দ্র) দ্বীনি ইলম না থাকার কারনে বর্তমানের এমপি-মন্ত্রীরা মূর্তি বানানোকে বৈধ মনে করে এবং এর পক্ষে কথা বলে। তাদেরকে কোন উসুল অনু্যায়ী কাফের বলা হয়ে থাকে?

1 Answer

+1 vote
by (696,320 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব:-
উযর বিল জাহালত তথা না জেনে শরীয়ত বিরোধী  কোনো কাজ কেউ করে ফেললে সেটা সেটা ক্ষমাযোগ্য অপরাধ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 4560

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَآئِيلَ الْبَحْرَ فَأَتَوْاْ عَلَى قَوْمٍ يَعْكُفُونَ عَلَى أَصْنَامٍ لَّهُمْ قَالُواْ يَا مُوسَى اجْعَل لَّنَا إِلَـهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُون َ* إِنَّ هَـؤُلاء مُتَبَّرٌ مَّا هُمْ فِيهِ وَبَاطِلٌ مَّا كَانُواْ يَعْمَلُون َ* قَالَ أَغَيْرَ اللّهِ أَبْغِيكُمْ إِلَـهًا وَهُوَ فَضَّلَكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ
বস্তুতঃ আমি সাগর পার করে দিয়েছি বনী-ইসরাঈলদিগকে। তখন তারা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে পৌছাল, যারা স্বহস্তনির্মিত মূর্তিপুজায় নিয়োজিত ছিল। তারা বলতে লাগল, হে মূসা; আমাদের উপাসনার জন্যও তাদের মূর্তির মতই একটি মূর্তি নির্মাণ করে দিন। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে বড়ই অজ্ঞতা রয়েছে।এরা যে, কাজে নিয়োজিত রয়েছে তা ধ্বংস হবে এবং যা কিছু তারা করেছে তা যে ভুল!তিনি বললেন, তাহলে কি আল্লাহকে ছাড়া তোমাদের জন্য অন্য কোন উপাস্য অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদিগকে সারা বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।(সূরা আরাফ-১৩৮-১৪০)

দেখুন অত্র আয়াতে মুসা আঃ তাদেরকে ভৎসনা করেছেন।কিন্তু তাদেরকে অমুসলিম আখ্যা দেননি বা  এজন্য তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশও দেননি।কাজেই বুঝা গেল উজর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীনী ইলম না থাকার কারণে যদি কেউ মুর্তি বানানোকে বৈধ মনে করে থাকে,তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না।কেননা শরীয়তে উযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য।

না জানার অর্থ হল,হারাম হওয়া সম্পর্কে কেউ অবগত না থাকা।যখন দ্বীনের দাঈ আলেম উলামাগণ কোনো বিষয়ের হালাল-হারামকে পরিস্কার ভাবে ঘোষণা দিয়ে দিবেন,তখন সে ব্যাপারে আর কারো না জানার উযর তথা উযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য হবে না।  তখন উনি আল্লহর কাছে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবেন। জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...