আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

 

অংশীদারগরণঃ

মা’য়ের অংশঃ ৫০%

এক ছেলে ও তিন মেয়ে+মা= বাকি ৫০%

 

সম্পদের বিবরণঃ

  1. বাবা কর্তৃক ক্রয় কৃত ৫ কাঠা জমি, যা বর্তমানে ৪.২৫ কাঠা মূল জমি রয়েছে।
  2. জমিতে তিন ইউনিট বিশিষ্ট ছয়তলার প্ল্যান পাস করা আছে।
  3. নিচ তলায় দুইটি ইউনিট, এবং অন্যান্য তলায় তিনটি করে ইউনিট।
  4. মোট ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১৭ টি।
  5. বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশনের টাকা ছেলে এবং মেয়ে ২:১:১:১ অনুপাতে দিয়েছে।
  6. নিচ তলায় দুটি ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি ফ্লাট ছেলে নিজে করেছে এবং  এবং অন্য ফ্ল্যাটটি ছেলে এবং মেয়ে ২:১:১:১ এ মাকে করে দিয়েছেন।
  7. জমিতে ছেলে এবং মেয়ের অংশ।

 

সমস্যা সমূহ:

  1. যেহেতু মা কোন টাকা বিনিয়োগ করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না, সেহেতু ডেভলপার হিসেবে ছেলেমেয়েরা করে দিলে মা কতটুকু অংশ পাবেন? কয়টি ফ্লাট পাবেন।
  2. ১৭ টি ফ্লাট ছেলে, মেয়ে ও মায়ের মধ্যে কিভাবে ভাগ হবে কে কয়টি পাবে?
  3. যেহেতু জমি বাদে মা কোন টাকা বিনিয়োগ করছেন না তিনি কিভাবে ফ্ল্যাট পাবেন? কয়টি ফ্ল্যাট পাবেন।
  4. যেহেতু মেয়েরা এখন আপাতত এখানে কনস্ট্রাকশনে কাজ করতে আগ্রহী নয়, ছেলে যদি মায়ের সাথে চুক্তি নামা করে তার অংশটুকু কাজ শেষ করে এবং মাকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয় তাহলে অসুবিধা কোথায়?
  5. যেহেতু মেয়েরা আপাতত এখানে বিল্ডিং করতে আগ্রহী নয়, ছেলে দুই তলা ও তিনতলা করে মাকে তার প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দিয়ে নিজে অংশটুকু শেষ করতে চায়, যাতে ছেলের অংশের কনস্ট্রাকশন কাজ শেষ হয়ে যায় এবং ভবিষ্যতে এই জায়গা নিয়ে তার আর চিন্তা করতে হয় না।
  6. ছেলে এই বিষয়েও রাজি যে, যদি ভবিষ্যতে বোনেরা চার বা পাঁচতলা করে এবং তারা দোতলার অংশের সাথে এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তন করতে চায় তাহলে ছেলের কোন আপত্তি নেই।
  7. তবে ছেলে যেহেতু তিন তালাতে থাকতে আগ্রহী ভবিষ্যতে কাজে তিন তালা রাখতে চায়। তবে অবশ্যই মায়ের অংশ মাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
হযরত আবু উমামা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗَﺪْ ﺃَﻋْﻄَﻰ ﻛُﻞَّ ﺫِﻱ ﺣَﻖٍّ ﺣَﻘَّﻪُ ، ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَﺍﺭِﺙٍ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক হক্বদারকে তার প্রাপ্য হক্ব (নির্ধারণ)করে দিয়েছেন।সুতরাং ওয়ারিছদের জন্য আর কোনো ওসিয়্যাত নেই।
অর্থাৎ-মূত্যুর পরে কাউকে কিছু দানের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা ওসিয়ত হয়ে যায়,আর নিজ ওয়ারিছদের মধ্য থেকে কারো জন্য ওসিয়ত করা জায়েয নয়।তবে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য কারো জন্য এক তৃতীয়াংশ মালে ওসিয়ত করা জায়েয আছে। (সুনানে আবু-দাউদ-২৮৭০সুনানে তিরমিযি-২১২০সুনানে নাসাঈ-৪৬৪১ইবনে মাজাহ-২৭১৩)

হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ اﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ - ﻋَﻦِ اﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ: «ﻻَ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَاﺭِﺙٍ، ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺸَﺎءَ اﻟْﻮَﺭَﺛَﺔُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ ওয়ারিছদের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই,তবে যদি অন্যান্য সমস্ত ওয়ারিছরা রাজি থাকে তাহলে জায়েয আছে। (মিশকাত-৩০৭৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/343

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি বেশ অস্পষ্ট ও জটিল মনে হচ্ছে,তাই আপনার সাথে ফোনে আলোচনা করে ফাতাওয়া লিখার সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হয়েছে।আশারাখি আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...