আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম

১। দ্বীনে ফেরার আগে আজ থেকে প্রায় ৬-৭ বছর আগে আমার একটি মেয়ের সাথে হারাম রিলেশন ছিল৷  আবেগে আমরা প্রায়ই ফোনে পরস্পর পরস্পরকে তিনবার বা আরও বেশিবার কবুল বলতাম৷  যাহোক এরপর মেয়ে আমার সাথে চিটিং করলে আমাদের রিলেশন ব্রেকআপ হয়ে যায়।  ৫ বছর পর এসে অর্থাৎ করোনার সময় আমার দ্বীনের পথে প্রত্যাবর্তন হয় আলহামদুলিল্লাহ ৷ এখন আমি দ্বীনে ফেরার পর মাঝে মাঝে কবুল বলার ঘটনা টা মনে পড়ে যায়৷  ভয় হয় আমাদের কি সত্যি বিয়ে হয়ে যায়নি তো আবার!!!
২। এখন আমার পরিত্রাণের জন্য করনীয় কি?
উস্তাদ কাইন্ডলি একটু বিস্তারিত বলবেন  যেন মনে কোনো খটকা বা সংশয় না থাকে৷  জাজাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (59,190 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-

. বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

. উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557)

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

. ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।

ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।   

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/11771/

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. বিবাহের ক্ষেত্রে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হলেই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আপনার বিবরণ মতে মনে হচ্ছে যে, আপনারা কোন সাক্ষী ছাড়া এমনিতেই কবুল বলেছেন বিধায় আপনাদের বিবাহ হয়নি।

২. পূর্বের কৃত হারাম রিলেশনের থেকে আল্লাহ তায়ালার নিকট খালেছ দিলে তওবা করতে হবে। তওবা সম্পর্কে  আরো জানুন: https://ifatwa.info/54144/?show=54144#q54144


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...