আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.স্বামী যদি তালাকের মজলিসে বলে "শেষ যা" এতে কি নিয়ত ছাড়াই তালাক হবে?

২.কোনো স্ত্রীকে তার স্বামী বলছে যদি তুমি দ্বীন থেকে দুরে সরে যাও তাহলে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফে এতটুকু বলছে নাকি সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে এতটুকু বলছে স্ত্রী তা মনে করতে পারছে না। সম্পর্ক ছিন্ন এতটুকু তার মনে আছে পরের অংশটা স্পষ্ট  মনে নেই এ ক্ষেত্রে তালাকের কি ফয়সালা আসবে?এটা ৮/৯ মাস আগের ঘটনা মনে করাও সম্ভব হচ্ছে না।স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেসও করতে পারছে না ভয়ে।

৩.অনেক আগে প্রশ্ন টা করেছিলাম যে, "আমি এমন ভাব করবো  তুমি এই কাজটা না করো তাহলে তোমাকে এখনই তালাক(দিব বলছে কিনা জানিনা শুনতে পাইনি) আমি এটা এটা এ জন্য বলি যাতে তুমি এই কাজ না করো" এটা বলাতে তালাক হবে কিনা??।আপনি বলেছিলেন যে এ বাক্যটা বলাতে তালাক হবে না।কিন্তু হঠাৎ করে আমার মনে হচ্ছে ঐ ঘটনাটা মনে নেই আর এতদিন পরে সন্দেহ হচ্ছে আমি এমন ভাব করবো এই কথাটা শুরুতে বলে নিয়েছিলো কিনা মনেই করতে পারছি অনেক আগের ঘটনা তো(৮/৯ মাস) তাই। এখন এই সন্দেহের কারনে কি তালাক হবে??স্বামীকে জিজ্ঞেস করিনি ভয় লাগে। তারও মনে আছে কিনা জানিনা।

৪.স্বামী যদি আমি এমন ভাব করবো এই কথাটা না বলে ডিরেক্ট বলে "তুমি এই কাজটা না করো তাহলে তোমাকে এখনই তালাক" এতে কি তালাক হবে আমার যতদুর মনে পরে তিনি এখানে এই কাজ টা বলতে কোনো কাজের দিকে ইঙ্গিত করে বা স্পেসিফিক কোনো কাজ সেটা উল্লেখ করেননি জাস্ট এমনি এটা বলেছেন।এতে কি সরাসরিই তালাক হবে বুঝতে পারছিনা??

৫.৩,৪ নং প্রশ্নের উক্ত কথা বলাতে কি ঐ মজলিস তালাকের মজলিস হবে

আমার কেনো জেনো ভুলে যাওয়া আর সন্দেহ একটা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।জীবনটা বিষাদ হয়ে দাড়িয়েছে কি করবো কিছুই বুজে আসে না

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
আপনার ইতিপূর্বের অনেক প্রশ্নে ছিলো যে এখানে স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলোনা।
সুতরাং তালাক হবেনা।

আর যদি স্বামীর কি নিয়ত ছিলো?  সেটি জানা না যায়,বা এখানে স্বামী পুরো কি বাক্য বলেছিলো,সেটিও সন্দেহপূর্ণ হয়।
তাহলে স্বামী থেকে অবশ্যই বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

(০৩)
না,এতে তালাক হবেনা।

(০৪)
এখানে স্বামীর কোন কাজের নিয়ত ছিলো,সেটা দেখতে হবে।
স্ত্রী যদি স্বামীর সেই নিয়তকৃত কাজটি করে,তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

(০৫)
উভয়টিই তালাকের মজলিস হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...