বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মৃত্যুর পর মানুষের দেহ কবরে তথা আলমে বারযাখে থাক।
ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় এই সময়কাল ‘বারজাখ’ বলা হয়। বারজাখ অর্থ দুটি জিনিসের মধ্যবর্তীয় অন্তরাল। পবিত্র কোরআনে মৃত্যু থেকে কিয়ামতের মধ্যবর্তী সময়কে ‘বারজাখ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
★সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তি ৪০ বছর কবরে থাকব।
হাদীসে ৪০ বছরের কথা এসেছে। সেই হিসেবে কিয়ামতের আগে মৃত্যুবরণ কারী ব্যক্তি কমপক্ষে ৪০ বছর কবরে থাকবে।
কুরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে,
حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَہُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ارۡجِعُوۡنِ ﴿ۙ۹۹﴾ لَعَلِّیۡۤ اَعۡمَلُ صَالِحًا فِیۡمَا تَرَکۡتُ کَلَّا ؕ اِنَّہَا کَلِمَۃٌ ہُوَ قَآئِلُہَا ؕ وَ مِنۡ وَّرَآئِہِمۡ بَرۡزَخٌ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾ فَاِذَا نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَلَاۤ اَنۡسَابَ بَیۡنَہُمۡ یَوۡمَئِذٍ وَّ لَا یَتَسَآءَلُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾ فَمَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِیۡنُہٗ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾ وَ مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُہٗ فَاُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ فِیۡ جَہَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾ۚ
“অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু আসে, সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে ফেরত পাঠান, যেন আমি সত্কর্ম করতে পারি, যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ কখনো নয়, এটি একটি বাক্য যা সে বলবে। যেদিন তাদের পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বরজখ। অতঃপর যেদিন শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, সেদিন তাদের মধ্যে কোনো আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, কেউ কারো বিষয়ে জানতে চাইবে না। অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম। আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই নিজদের ক্ষতি করল, জাহান্নামে তারা হবে স্থায়ী।” (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৯৯-১০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا بَيْنَ النَّفْخَتَيْنِ أَرْبَعُونَ» قَالَ: أَرْبَعُونَ يَوْمًا؟ قَالَ: أَبَيْتُ، قَالَ: أَرْبَعُونَ شَهْرًا؟ قَالَ: أَبَيْتُ، قَالَ: أَرْبَعُونَ سَنَةً؟ قَالَ: أَبَيْتُ، قَالَ: «ثُمَّ يُنْزِلُ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَيَنْبُتُونَ كَمَا يَنْبُتُ البَقْلُ، لَيْسَ مِنَ الإِنْسَانِ شَيْءٌ إِلَّا يَبْلَى، إِلَّا عَظْمًا وَاحِدًا وَهُوَ عَجْبُ الذَّنَبِ، وَمِنْهُ يُرَكَّبُ الخَلْقُ يَوْمَ القِيَامَةِ»
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, দুই ফুৎকারের মাঝে বিরতিকাল চল্লিশ। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু হুরায়রা! চল্লিশ দিন? তিনি বললেন, আমি সন্দিহান। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, চল্লিশ মাস? তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি সন্দিগ্ধ। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, চল্লিশ বছর? তিনি বললেন, আমি সন্দিহান। [কোনটাই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না’। তারপর আসমান থেকে বৃষ্টিপাত হবে পরক্ষণেই মানুষ যমিন ভেদ করে এভাবে উঠতে থাকবে যেরূপ উদ্ভিদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে এমন কোন মানুষ নেই পঁচে বিনষ্ট হবে না। সবই মিশে যাবে কেবল একটা হাড় যা নিতম্বের প্রান্তে থাকে, তা মিশে যাবে না। কিয়ামতের দিন তা থেকে মানুষের বাকি অংশগুলো জোড়া হবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৯৩৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯৫৫}
وقد روي ابن المبارك «عن الحسن قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: بين النفختين أربعون سنة.
الأولى: يميت الله تعالى بها كل حي.
والأخرى: يحيى الله بها كل ميت
ইবনুল মুবরাক রহঃ হাসান বসরী রহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, দুই ফুৎকারের মাঝে বিরতিকাল হল চল্লিশ বছর। প্রথম ফুৎকারের সময় আল্লাহ তাআলা প্রতিটি জীবিতকে মৃত্যু দান করবেন। আর দ্বিতীয় ফুৎকারের সময় প্রতিটি মৃতকে জীবন দান করবেন।
আল্লামা হালীমী বলেন বর্ণনাগুলো এ বিষয়ে ঐক্যমত্ব যে, দুই ফুৎকারের মাঝে সময়সীমা হল চল্লিশ বছর। {আততাযকিরাহ লিলকুরতুবী-১৬৫}
(সংগৃহীত।)
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে,কোন টিচারের আন্ডারে রিসার্চ/থিসিস/প্রজেক্ট করবে তা চয়েজ লিস্ট জমা দেওয়া যায়।
সুতরাং মহিলা টিচার থাকা সত্ত্বেও পুরুষ টিচার চয়েস লিস্টে দিলে এবং পরিশেষে পুরুষ টিচারের আন্ডারে কাজ করলে তা জায়েজ হবেনা।