বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।
যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কোনো স্বামীর কেনায়া বাক্য বলার সময় নিয়ত ছিল না। কেনায়া বাক্য বলার শেষে যদি স্বামীর মনে নিয়ত চলে আসে তাহলে তালাক হবে না।
(২) স্বামী কেনায়া বাক্য বলার সময় নিয়ত থাকতে হবে, কেনায়া বাক্য বলার পরে নিয়ত করলে হবে না।
(৩) স্বামী যদি বলে "আমার বাসায় থাকতেই ইচ্ছা হয় না", এটি কেনায়া বাক্য হবে না।
(৪)"আমাকে মেসেজ দিও না" এই কথায় যদি স্বামী তার বউকে তালাকের উদ্দেশ্য করে বলে, তাহলে তালাক হবে না।
(৪) তালাকের অধিকার পাওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে "আমার বাসায় থাকতেই ইচ্ছা হয় না", এটি কেনায়া বাক্য হবে না।
(৫) তালাকের অধিকার পাওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে "ওইপাশে যাও" এটি কেনায়া বাক্য হবে না।