আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
252 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (190 points)
edited by
১. একজন স্বামী শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পরে মনে মনে তার স্ত্রীকে নিয়ে বলল, তালাক দিলাম। এইভাবে সে মনে মনে ২ দিন স্ত্রীকে তালাক দেয় কারন শয়তান তাকে এইসব ভাবায়।

তারপর একদিন স্বামী মুখে উচ্চারণ করে বলে, "প্রথমদিন থেকে শয়তান তালাক নিয়ে যা মনে মনে বলিয়েছে, যা ভাবিয়েছে, যা ওয়াসোয়াসা দিয়েছে, যা যা দুশ্চিন্তা দিসে তা স্ত্রীকে দিলাম।"

এইখানে নিয়ত না থাকলে তাহলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (676,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
একজন স্বামী শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পরে মনে মনে তার স্ত্রীকে নিয়ে বলল, তালাক দিলাম। এইভাবে সে মনে মনে ২ দিন স্ত্রীকে তালাক দেয় কারন শয়তান তাকে এইসব ভাবায়।

তারপর একদিন স্বামী মুখে উচ্চারণ করে বলে, "প্রথমদিন থেকে শয়তান তালাক নিয়ে যা মনে মনে বলিয়েছে, যা ভাবিয়েছে, যা ওয়াসোয়াসা দিয়েছে, যা যা দুশ্চিন্তা দিসে তা স্ত্রীকে দিলাম।"

এইখানে নিয়ত না থাকার কারণে কোনো তালাক হবে না।

(২)
কোনো স্বামী একটি বাক্য যেখানে লিখা আছে "নিয়ত ছাড়া তালাকের " সংশোধন করতে যেয়ে উক্ত বাক্যের "নিয়ত ছাড়া" দুটি শব্দ মুছে ফেলে সেইখানে লেখে "স্ত্রীর", এবং পরবর্তীতে দেখে যে "স্ত্রীর" শব্দটির পরে আগে থেকেই "তালাকের" শব্দটি আছে। এতে বাক্যটি দাড়ায় "স্ত্রীর তালাকের"। এইখানে তালাকের শব্দটি আগেই লিখা ছিল। যার ফলে সে ভয় পেয়ে যায়।

এইখানে তার বিবাহের কোনো ক্ষতি হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (676,920 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...