আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পবিত্রতা (Purity) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম
বাথরুমে টয়লেটে প্রসাব,পায়খানার জন্য বসলে টয়লেটের পানি ছিটকে আসে।এরকম সমস্যা দিনে রাতে হয়।

(১)এ অবস্থায় কি ওই শরীর আর কাপড়ে ওযু নামাজ হবে???

(২)টয়লেটের পানি আসলে ছিটকে পিঠের বা ব্যাক সাইডে কোথায় লাগে সেটা বলা খুব মুশকিল হয়ে যায়। এ অবস্থায়  গোসল করতে হবে??দিনে রাতে বার বার গোসল করা টা খুব কঠিন।খুব বিরক্ত আমি এই বিষয় টা নিয়ে।এরকম হলে ইবাদাত আমলে ব্যাঘাত ঘটে।
(৩)টয়লেটের পানি ছিটকার মতো বাজে অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় কি??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
শরীয়তে ইসলামি সহজতার উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত চায় না মানুষ কষ্টে নিপতিত হোক।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না(সূরা বাক্বারা-১৮৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ)
নিশ্চয় দ্বীনে ইসলাম সহজ।(সহীহ বুখারী-৩৯)

আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না। আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাথরুমে টয়লেটে প্রসাব,পায়খানার জন্য বসলে টয়লেটের পানি ছিটকে আসে।এরকম সমস্যা দিনে রাতে হয়।
(১+২)যতক্ষণ না এক দিরহাম পরিমাণ নাপাকি কাপড় বা শরীরে রয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ শরীর আর কাপড় নিয়ে নামায পড়া যাবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
এটা আপনার মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। সুতরাং আপনি এ বিষয়কে পাক নাপাকির বিষয়কে মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন।অথবা আপনি পুকুরে বা হাউজে বা খুলা জায়গায় গোসল করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...