আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।

১.আযানের সময় মাথায় কাপড় দেয়ার কোনো হাদীস এখনো যদিও আমি পাই নী। তবে শুনেছি এইটা একটা আদব। তবে এত এত যে আযানের জবাব আর দুআর কথা শুনি, বা দুআ আমল পড়ি এর মধ্যে মাথায় কাপড় দেওয়ার কথা আসে না। তবে কি আজান শুরু হলে মাথায় কাপড় টানতে হবে? নাকি এইটা বিদাআত?

২.এখন অনেকে বিড়াল পালেন। আর এর জন্য বিড়ালদের নিউটার করার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কারণ কিছুদিন পর পর এত গুলো বাচ্চা হয় যা পালার সামর্থ্য তো কারো থাকে না, অ্যাডাপশন নেয় না কেউ, অথচ বাচ্চা গুলো না খেয়ে কষ্টের জীবন পার করে, অথবা বাড়িতে রাখলে অনেক ঝামেলা সহ্য করতে হয়। এগুলো যুক্তি দিয়ে সব বিড়ালদের নিউটার করানো হচ্ছে, আরো অনেক কারণ থাকতে পারে।

এভাবে প্রাণীদের সাথে নিজেদের খেয়াল খুশি মত আচরণ করা কি জায়েজ হবে? ওদের তো নিজেদের বাচ্চা বা বংশধর এর হক আছে, তাছাড়া এভাবে তো ওই প্রাণীর সংখ্যা কমে যেতে থাকবে যা সৃষ্টির জগতের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। একটা প্রাণীর বংশ বৃদ্ধি না করতে দেওয়া কি তার হক নষ্ট করে? এটা কি প্রকৃতির বিপরীত যা আল্লাহ স্বাভাবিক ভাবে সৃষ্টি করেছেন আর মানুষ তাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে?

এছাড়াও, মুরগি বা পাখি দের ডিম মা ছাড়া ফুটানো বা বড়ো করা, এগুলো কি হক নষ্ট করে? যদিও মানুষের জন্যই আল্লাহ এগুলো সৃষ্টি করেছেন, তবে মানুষ দিন দিন বেশি লাভের আশায় অনেক এক্সট্রিম পর্যায়ে চলে যায় প্রাণীদের ফার্মিং এ।
closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আজানের সময় মাথায় কাপড় টানা বিদ'আত বলা যাবে না বরং সর্বদা মাথায় কাপড় রাখাটাই উচিৎ।গায়রে মাহরামের সামনে ফরয।আর মাহরামের সামনে কিংবা একাকি ঘরে উত্তম। সুতরাং যখন একজন মুসলিম নারীর সর্বদা মাথায় কাপড় দেয়ার নিয়ম বিদ্যমান রয়েছে, তাই আযানের সময় মাথায় কাপড় দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসতে পারে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/925

(২)
প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুখে প্রহার করা  এবং মুখে ট্যাটু অঙ্কন করা যাবে না।(সহীহ মুসলিম-২১১৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনা প্রয়োজনে বিড়ালকে খাসি বানানো যাবে না,জায়েয হবে না।বিড়ালটিকে আপনি তাড়িয়ে দিতে পারেন।তাকে ঘরে লালন পালন করার জন্য তো কেউ আপনাকে চাপ দিচ্ছে না। তাকে তার উপর ছেড়ে দিন।তার রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10998

আপনি যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন,নিউটার করানোর জন্য এসব কারণ যথেষ্ট নয়। আল্লাহ প্রাণী তৈরী করেছেন, তার দেখাশোনা আল্লাহ নিজেই করবেন।তার অস্থিত্বের প্রয়োজন যতদিন থাকবে,ততদিন আল্লাহ তাকে এই পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখবেন। সুতরাং আপনি কুকুর/বিড়ালের নিউটার করাতে পারবেন না।

মা ছাড়া ডিম ফুটানোতে যদি পশুপাখির কিছু অধিকার কে খর্ব করা হচ্ছে, তথাপি এখানে মানুষের অনেক ফায়দা নিহিত রয়েছে। তাই মা ছাড়া ডিম ফুটানোর রুখসত দেয়া যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 98 views
...