আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
edited by
১. স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, "একটা কথা সবসময় মনে রাখবা, আমার বউ হয়ে থাকলে জিবনে চাকরি করতে পারবা না।
চাকরি করতে চাইলে আমারে আগে ছাইড়া তারপর চাকরি করবা।"

এইখানে যদি স্বামীর তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়ার নিয়ত থাকে তাহলে স্ত্রী কত সময়ের জন্য অধিকার পাবে?

২. স্বামীর ব্যবসার অবস্থা খারাপ যাচ্ছিল। স্বামী কিছুটা হতাশ, মন খারাপ হয়ে সে স্ত্রীকে বলল, "আমার ব্যবসা ভাল যাচ্ছে না। আমার টাকা না থাকলে তুমি আমারে ডিভোর্স দিবা।"

স্বামীর এই কথা বলার কারন, টাকা না থাকলে স্ত্রী যদি একটা সময় ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়, এই ভয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে এই ভাবে বলেছে।

স্বামীর এই কথা বলাতে "আমার ব্যবসা ভাল যাচ্ছে না। আমার টাকা না থাকলে তুমি আমারে ডিভোর্স দিবা" -এইখানে কি স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়া বুঝাবে?

৩. স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বলে "আমি যদি তোমাকে তালাক দিয়ে চলে যাই তুমি ভাল থাকবা" স্বামীর এই কথায় কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে।
এখানে স্ত্রী চাকরি করতে চাইলেই কেবল সেই সময়ে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে।

স্ত্রী চাকরি করতে না চাইলে অধিকার প্রাপ্ত হবেনা।
স্ত্রী যদি তালাক না দিয়েই চাকুরী করে,সেক্ষেত্রে স্বামী তালাক না দিলে চাকুরীর জীবন শেষ পর্যন্ত তালাকের অধিকার স্ত্রীর থাকবে।

(০২)
"আমার ব্যবসা ভাল যাচ্ছে না। আমার টাকা না থাকলে তুমি আমারে ডিভোর্স দিবা" 

এটি তো প্রশ্নবোধক শব্দ।
তার মানে এখানে উক্ত বিষয় সম্পর্কে স্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছে।

তাই আগে থেকে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিয়ে থাকলে শুধু উপরোক্ত কথায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়া বুঝাবেনা।

(০৩)
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বলে "আমি যদি তোমাকে তালাক দিয়ে চলে যাই তুমি ভাল থাকবা" স্বামীর এই কথায়  তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...