بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অবৈধ ও
হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম। এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া
দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে। কোন গুলো হারাম আর কোনো
গুলো হালাল, তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে
হারামের আধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী। উক্ত
ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ
রয়েছে। কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল, তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে
হালালের আধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত
ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে
হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
১ম নং এবং
২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য়
সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই
উত্তম। এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।
জ্ঞাতব্য
যে,ব্যাংকের সকল ইনকাম হারাম নয়। বরং কিছু জায়েযও আছে।এ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/398
সুতরাং
বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া
দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন
ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের
নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من
ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো
নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে
তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি দাওয়াত প্রদানকারী ব্যাংক কর্মকর্তা হন এবং উনার হালাল কোনো ইনকামসোর্স না থাকে, তাহলে আপনি গরীব হলেই কেবল উনার দাওয়াত কবুল করতে পারবেন। নতুবা
উনার দাওয়াত কবুল করে বিয়েতে খেতে যেতে পানবেন না।এটা আপনার জন্য জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. যদি আপনাদের বাসার মেহমান নিতান্তই গরীব/মিসকিন হন,তাহলে তাদের জন্য আপনার
বাবার দাওয়াত কবুল করা, হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয
হবে,নতুবা জায়েয হবে না। আর জেনে শুনে হারাম মাল দ্বারা কাউকে মেহমানদারী করালে গুনাহ
হবে। এবং যারা নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়া সত্বেও হারাম ইনকামের দাওয়াত কবুল করবে
তাদেরও গুনাহ হবে। তবে যদি জানা না থাকে যে, কেমন মাল দ্বারা আপ্যায়ন করাবে তাহলে উনার বাসার দাওয়াত থেকে নিজেকে সতর্কতামূলক দূরে রাখতে হবে যদি
তার সব বা অধিকাংশ ইনকাম হারাম হয়।
২. জ্বী আপনি এভাবে টাকা বদল করতে পারবেন। তবে যেহেতু তিনি আপনার
কথা শুনেন না তাই আপনার জন্য উচিত হবে তাকে স্থানীয় কোন ভালো আলেমের সাথে পরিচয় করিয়ে
দেওয়া এবং তার মাধ্যমে আপনার বাবাকে হালাল ইনকামের প্রতি দাওয়াত প্রদান করা ও হারাম
বর্জনের জন্য তাকে বুঝানো।