আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ

আমি ইদানিং ভীষণ ভয়ের স্বপ্ন দেখি। একবার দেখে ছিলাম শয়তান আমার আত্বা খেয়ে ফেলছে দেখে প্রচুর ভয় পাই। আর আজকে দেখলাম স্বপ্নে  আমার বাসায় একজন আসছে তার পকেট থেকে আমার চুল খুজে পেয়েছি। সে আমাকে বলছে স্বপ্নে আমার উপর মৃত্যুর জাদু করছে আমি আবার তাকে বলতিসি আমি তো মরে যাবো তারপর তোমাকে তো আল্লাহ জাহান্নামে গ্রিল করবে। তার পর লোকটাকে ঘরে আটকায় রাখছি। পরে লোক আমাকে ধরতে আসছে ভয়ংকর চেহারায় আর আমি সুইসাইড করছি। মাঝে আমার মা স্বপ্ন দেখছে আমার স্বামীর পায়ে কালো সুত গিট দিয়ে বাধা তা আবার আমার আম্মু স্বপ্নের ভেতর আগুনে পুড়ায় ফেলছে। আমার দুই চাচী শাশুড়ি এক জন আরেক জনকে জাদু করার অপবাদ দেয় কোন জন জাদু করে তা জানি না। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে আমার স্বামী ভালবাসে তা পছন্দ করে না। এই স্বপ্ন গুলোর দ্বারা কি কালোজাদু করা হইছে এমন কিছু বুঝায়? আর করণীয় কি এমন কিছু করা হলে?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


এই স্বপ্ন গুলোর দ্বারা কালোজাদু করা হইছে এমন কিছু নিশ্চিত ভাবে বুঝায়না।

জাদুর ফলে আপনার শরীরে যদি কঠিন কোনো রোগ না হয়,তাহলে অযথা টেনশনের কিছু নেই।
আপনার জন্য করনীয় হলো,অযু করে পাক বিছানায় রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
আয়াতুল কুরসি পড়বেন।
তিন কুল পড়ে হাতে ফুক দিয়ে সারা শরীরে হাত বুলিয়ে দিবেন।

★আর কেহ যদি আপনাকে সত্যিই এমন যাদু করে,তাহলে আপনার শরীরে কঠিন রোগ ইত্যাদি দেখা যেতে পারে,বা অসুস্থ কেহ সুস্থ হচ্ছেনা,এমনটা দেখা গেলে,
সেই সময়ে অভিজ্ঞ দ্বীনদার রুকইয়া কারী/কবিরাজের স্বরনাপন্ন  হলে যাদুতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা,বুঝা যাবে।

এ যাদু নষ্ট করার ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। এর পদ্ধতি হচ্ছে- যাদুতে আক্রান্ত রোগীর উপর অথবা কোন একটি পাত্রে আয়াতুল কুরসি অথবা সূরা আরাফ, সূরা ইউনুস, সূরা ত্বহা এর যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়বে। এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বে এবং রোগীর জন্য দোয়া করবে। 

বিশেষতঃ যে দুআটি রাসূলুল্লাহ ﷺ  থেকে সাব্যস্ত হয়েছে:
اللَّهُمَّ ربَّ النَّاسِ، أَذْهِب الْبَأسَ، واشْفِ، أَنْتَ الشَّافي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفاءً لاَ يُغَادِرُ سقَماً
(অর্থ- হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।)
জিব্রাইল আ. নবী ﷺ-কে যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন সেটাও পড়া যেতে পারে। 

সে দুআটি হচ্ছে-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
(অর্থ- আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।)

এই দোয়াটি তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন।
আলেমগণ বলেছেন, এ দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।

আরো জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...