বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে অজুর প্রথমে এবং শেষে দু'আ বর্ণিত রয়েছে।
অজুর প্রথমে বিসমিল্লাহ প্রমাণিত রয়েছে-
রাসূলুল্লাহ সা বলেছেন,
( لا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرْ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ )
যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলে অজু শুরু করবে না তার অজুই হবে না।(সুনানু তিরমিযি-২৫)
উক্ত হাদীসের সনদ নিয়ে কালাম রয়েছে।তবে আলবানি সহীহ বলেছেন।
ইমাম নববী রাহ বলেন,
বিসমিল্লাহ দিয়ে অজু শুরু করার সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাদীস হল,হযরত আনাস রাযি এর হাদীস।(আল-মাজমু-১/৩৮৫)
অজুর শেষের দু'আ সম্পর্কে অনেক হাদীসই বর্ণিত রয়েছে।
( أشْهَدُ أنْ لا إله إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيك لَهُ ، وأشْهَدُ أنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَوَّابِينَ ، واجْعَلْني مِنَ المُتَطَهِّرِينَ ، سُبْحانَكَ اللَّهُمَّ وبِحَمْدِكَ ، أشْهَدُ أنْ لا إلهَ إِلاَّ أنْتَ ، أسْتَغْفِرُكَ وأتُوبُ إِلَيْكَ )
হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি থেকে বর্ণিত
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ : أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، إِلا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ )
সহীস মুসলিম-২৩৪
ইমাম তিরমিযি উক্ত দু'আয় শেষে একটু বাড়িয়ে বলেন,
( اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ التَّوَّابِينَ ، وَاجْعَلْنِي مِنْ الْمُتَطَهِّرِينَ )
সুনানু তিরমিযি-৫৫)
তবে হাফিয ইবনে হাজার ইমাম তিরমিযি রাহ এর বাড়ানোকে দুর্বল বলে থাকেন।(আল-ফুতুহাতুর-রাব্বানিয়্যাহ-২/১৯)কিন্তু ইবনুল কাইয়্যুম রাহ বিশুদ্ধ বলেছেন।
আ'মলুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইল কিতাবে ইমাম নাসায়ী রাহ থেকে আরও বর্ণিত রয়েছে-
(سُبْحانَكَ اللَّهُمَّ وبِحَمْدِكَ ، أشْهَدُ أنْ لا إلهَ إِلاَّ أنْتَ ، أسْتَغْفِرُكَ وأتُوبُ إِلَيْكَ)
এ হল রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণিত দু'আ সমূহ।এছাড়া প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করতে আর বিশেষ কোনো দু'আ সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।ইমাম নববী রাহ লিখেন,
وأما الدعاء على أعضاء الوضوء فلم يجئ فيه شيء عن النبي صلى الله عليه وسلم .
(আল-আযকার-৩০)