আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন (১) যদি কোন বেক্তি বলে যে, "ধৈর্য সহকারে দুই এক বছর ব্যবসা করলে ইনশাআল্লাহ চলবে"
এখানে "চলবে" বলতে সংসারের বিভিন্ন খরচের জন্য  যে টাকা পয়সার দরকার হয় সেইটা বুঝাতে যদি বলে থাকে  তাহলে কি স্ত্রীর উপর কোন শরতমুলক (তা...) কি পতিত হবে?
প্রশ্ন (২) যদি কোন বেক্তি বলে যে, "ধৈর্য সহকারে দুই এক বছর ব্যবসা করলে ইনশাআল্লাহ "সংসার চলবে"এখানে "সংসার চলবে" বলতে সংসারের বিভিন্ন খরচের জন্য  যে টাকা পয়সার দরকার হয় সেইটা বুঝাতে যদি বলে থাকে  তাহলে কি স্ত্রীর উপর কোন শরতমুলক (তা...) কি পতিত হবে?
প্রশ্ন (৩)যদি কোন বেক্তি (তা...) নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য দারা শরতমুলক বাক্য বললে কি তার স্ত্রীর উপর কোন শরতমুলক  (তা...) পতিত হয়   কি?

প্রশ্ন (৪)যদি কোন বেক্তি (তা...) এর নিয়তে শুধু যদি "দুই" অথবা "তিন" উচচারন করে তাহলে কি তার স্ত্রীর উপর (তা...) হবে কি?

প্রশ্ন (৫) যদি কোন বেক্তি (তা...) এর নিয়তে শুধু যদি তার হাতের দুই আঙুল উপরের দিকে ওঠায় তাহলে কি তার স্ত্রীর উপর (তা...) হবে কি?

প্রশ্ন (৬) যদি কোন বেক্তি বিয়ের আগেই বর কনের কাছে মোহরানার ৫০০০টাকার নগদ ১০০০ টাকা দিবে আর বাকী ৪০০০টাকা ক্ষমা চেয়ে নিয়ে নেয় তার পর যদি বিয়ে করে তাহলে কি মোহরানা বাতিল হয়ে যাবে কি এবং বিবাহ কি শুদ্ধ  হবে?

হুজুর অনুরোধ করছি দয়া করে ১,২,৩,৪ নং প্রশ্নের উত্তরের কারনটা জানাবেন আবারো  আপনাকে অনুরোধ করছি।জাজাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তাহলে স্ত্রীর উপর শর্তমূলক কোনো তালাক পতিত হবেনা।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

কেননা এখানে স্বামী তালাকের উপর শর্ত জুড়ে দেয়নি।

(০২)
যদি কোন বেক্তি বলে যে, "ধৈর্য সহকারে দুই এক বছর ব্যবসা করলে ইনশাআল্লাহ "সংসার চলবে"এখানে "সংসার চলবে" বলতে সংসারের বিভিন্ন খরচের জন্য  যে টাকা পয়সার দরকার হয় সেইটা বুঝাতে যদি বলে থাকে  তাহলে কি স্ত্রীর উপর শর্তমূলক কোনো তালাক পতিত হবেনা।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

কেননা এখানে স্বামী তালাকের উপর শর্ত জুড়ে দেয়নি।

(০৩)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।
কেননা এখানে স্বামীর তালাকের কোনো নিয়ত নেই।

(০৪)
না,এতে তালাক তালাক পতিত হবেনা।

কেননা এখানে স্বামী তালাক শব্দই বলেনি।

(০৫)
না,এতে তালাক হবেনা।

(০৬)
বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে একহাজার টাকা মোহরানা হিসেবে ধরা হবে।
এতো কম টাকা যেহেতু মোহরানা হয়না,তাই বিবাহ শুদ্ধ হলেও এক্ষেত্রে স্বামীকে মোহরে মিছিল দিতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...