ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾
সাদাকাহ হচ্ছে শুধুমাত্র গরীবদের এবং অভাবগ্রস্তদের, আর এই সাদাকাহর (আদায়ের) জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং (দীনের ব্যাপারে) যাদের মন রক্ষা করতে (অভিপ্রায়) হয় (তাদের), আর গোলামদের আযাদ করার কাজে এবং কর্জদারদের কর্জে (কর্জ পরিশোধে), আর জিহাদে (অর্থাৎ যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য) আর মুসাফিরদের সাহায্যার্থে। এই হুকুম আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।
(সুরা তওবা ৬০)
যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে।চায় সে ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণের মালিক হোক বা অক্রমবর্ধমান মালের মালিক হোক।সর্বাবস্থায় ঐ ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ধনী হিসেবে বিবেচিত হবে। ঐ ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানুন-
1461
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
699
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনি নিজে যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হোন,আপনার উপর যদি যাকাত প্রদান ফরজ না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে বুঝা যায় যে, আপনার নিজ মালিকানায় তো ৬০/৭০ হাজার টাকার মতো টাকা দৈনন্দিন খরচ ব্যাতিত প্রয়োজন অতিরিক্ত নেই,তাই আপনি যাকাতের টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
(০৩)
হ্যাঁ, এটি সঠিক কথা।
সুতরাং আপনি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
(০৪)
এই বৃত্তির টাকা নিলে তাহা হারাম উপার্জন হবেনা।
তবে পরিক্ষায় অন্যের সাহায্য নেয়ার কারনে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
(০৫)
এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বৃত্তির টাকা নিলে তাহা হারাম উপার্জন হবেনা।
তবে এভাবে মিথ্যা তথ্য দেয়ার গুনাহ হবে।