আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
edited by

আসসালামুআলাইকুম।

(১) আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে শিক্ষাবৃত্তি পাই। https://ifatwa.info/1900/     এই প্রশ্নের উত্তরের শেষের দিকে গরীব বলতে কাদেরকে বুঝানো হচ্ছে? শুধুই কি যাকাত নেওয়ার উপযুক্ত তারাই? নাকি যাকাত নেওয়ার উপযুক্ত না হলেও খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজন পূরণ করতে যাদের হিমশিম খেতে হয় তারাও নিতে পারবে?

(২) আমার পরিবারের অবস্থা এমন যে, যাকাত নেওয়ার মতো ততটা গরীব না। কিন্তু আমাদের দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো বাবার পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বাবা কিছুটা অসুস্থ হওয়া সত্বেও অত্যাধিক পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমার বিষয়টা স্পষ্ট করে যদি বলতেন যে, আমি এই বৃত্তির টাকা নিতে পারব কিনা? যদি নেওয়া হারাম হয় তাহলে আপাতত খরচ করে পরবর্তীতে সদাকা করে দিলে হবে কিনা?  

(৩) এক ভাইয়ের প্রশ্নের মধ্যে পড়লাম, পিতার সামর্থ্যের কারণে সাবালক পুত্র সামর্থ্যবান হয় না। এটা কি সঠিক? আমার বয়স ২৩ বছর। আমি যদি নিজের খরচ নিজে বহন করতে অসমর্থ হই তাহলে কি আমি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বৃত্তির টাকা নিতে পারব?

(৪) আমি এইচএসসিতে  জিপিএ ৫ পাই। কিন্তু পরীক্ষার হলে অন্যের সাহায্য নিয়েছিলাম, তবে কতটুকু নিয়েছিলাম সেটা সঠিক মনে নেই। অন্যের সাহায্য ব্যতিত বৃত্তি পাওয়ার জন্য যে নূন্যতম পয়েন্ট লাগবে, সেটা অর্জ্ন করতে পারতাম কিনা এখন বলতে পারতেছি না। তাহলে আমি এই বৃ্ত্তির টাকা নিলে তা কি হারাম উপার্জন হবে?

(৫) বৃত্তি পাওয়ার জন্য অভিভাবকের বাৎসরিক ইনকাম কত সেটা উল্লেখ করতে বলেছিল। আমি আনুমানিক হিসাব করে উল্লেখ করেছিলাম। কারণ আমার শ্রমজীবী পিতার বাৎসরিক ইনকাম একদম সঠিকভাবে হিসাব করা কষ্টসাধ্য ছিল। এক্ষেত্রে আমি কি মিথ্যা বলে বৃত্তি নিচ্ছি? এবং এটা কি হারাম উপার্জন হবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾

সাদাকাহ হচ্ছে শুধুমাত্র গরীবদের এবং অভাবগ্রস্তদের, আর এই সাদাকাহর (আদায়ের) জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং (দীনের ব্যাপারে) যাদের মন রক্ষা করতে (অভিপ্রায়) হয় (তাদের), আর গোলামদের আযাদ করার কাজে এবং কর্জদারদের কর্জে (কর্জ পরিশোধে), আর জিহাদে (অর্থাৎ যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য) আর মুসাফিরদের সাহায্যার্থে। এই হুকুম আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।
(সুরা তওবা ৬০)

https://ifatwa.info/7744/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে।চায় সে ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণের মালিক হোক বা অক্রমবর্ধমান মালের মালিক হোক।সর্বাবস্থায় ঐ ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ধনী হিসেবে বিবেচিত হবে। ঐ ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানুন- 1461

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 699

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনি নিজে যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হোন,আপনার উপর যদি যাকাত প্রদান ফরজ না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেন।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে বুঝা যায় যে, আপনার নিজ মালিকানায় তো ৬০/৭০ হাজার টাকার মতো টাকা দৈনন্দিন খরচ ব্যাতিত প্রয়োজন অতিরিক্ত নেই,তাই আপনি যাকাতের টাকা গ্রহন করতে পারবেন।

উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেন।

(০৩)
হ্যাঁ, এটি সঠিক কথা।

সুতরাং আপনি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেন।

(০৪)
এই বৃত্তির টাকা নিলে তাহা হারাম উপার্জন হবেনা।

তবে পরিক্ষায় অন্যের সাহায্য নেয়ার কারনে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।

(০৫)
এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বৃত্তির টাকা নিলে তাহা হারাম উপার্জন হবেনা।

তবে এভাবে মিথ্যা তথ্য দেয়ার গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...