আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by
১. বিভিন্ন সময় অনলাইনে বিভিন্ন প্রয়োজনে টেম্পোরারি ইমেইল বা অস্থায়ী ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। সাময়িক কিছু সময়ের জন্য অনলাইনে ছোট খাটো বিভিন্ন কাজ যেমন: কোনো ওয়েবসাইটে টেম্পোরারি অ্যাকাউন্ট তৈরি, কোনো সফটওয়্যার এর trial ভার্সন চালানো, সাময়িক সময়ের জন্য ইমেইল গ্রহন ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের জন্য এই ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন: কোনো অ্যান্টিভাইরাস সটওয়্যারের ফ্রি trial ভার্সন চালানো।

যেসব ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারে এই ইমেইল সার্ভিস ব্যাবহার করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, তারাও এই সমস্ত ইমেইল সার্ভিসের দ্বারা অ্যাকাউন্ট তৈরি করা বন্ধ করে রাখে না বিধায় এগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে এ সার্ভিস ব্যবহার করা বৈধ হবে কি না?

২. আমার ইন্টারনেট বিল পরিশোধের নিয়ম হলো প্রতি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে। অর্থাৎ তারা পরবর্তী মাসের বিল পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত ৫ দিন সময় দিয়ে থাকে (নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়)। এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলে আমি জানতে পারলাম যে, এই অতিরিক্ত সময়টা তাদের পক্ষ থেকে বিল পরিশোধের জন্য ইমার্জেন্সী সার্ভিস হিসেবে দিয়ে থাকে। এখন কেউ যদি কোনো মাসের অর্ধেকে এসে বা মাসের শেষের দিকে এসেও সেই কয়দিনের (মাসের অর্ধেক বা শেষ কয়দিন) বিল পরিশোধ করে তাহলে সেও উক্ত ৫ দিন অতিরিক্ত পেয়ে থাকে বিল পরিশোধের জন্য। মাসের শেষের কিছুদিন (অতিরিক্ত ৫ দিন সহ) ব্যবহার করে পরের মাসে আবার ইন্টারনেট অফ রাখা হলো। তাহলে এই পাঁচ দিন বেশি ব্যাবহার করা কি হক নষ্ট করা হচ্ছে? { উল্লেখ্যঃ ইন্টারনেট বিল সবসময় অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। }
বিষয়টি সহজ ভাবে বলতে গেলে, মনে করুন আমি ১ মাস ইন্টারনেট চালিয়েছি এবং পরবর্তী মাসের বিল পরিশোধের জন্য তারা আমাকে আর ৫ থেকে ১০ দিন এর মত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে (অনেক সময় বাড়তি ৫ থেকে ১০ দিনের মতও ইন্টারনেট চালানো সম্ভব হয়েছে)। কিন্তু উক্ত বাড়িয়ে দেওয়া সময়ের জন্য আমার কাছে তারা অর্থ দাবি করেনি। মনে করুন এই ১ মাস চালানোর (বাড়তি সময় সহ) পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেল। এর পরে আমি ২ মাস চালালাম না। ৩য় মাসে গিয়ে আবার চালু করার সময় শুধু ৩য় মাসের বিল পরিশোধ করলেই ইন্টারনেট আবার চালু হয়ে যায়। এক্ষেত্রে উক্ত বাড়তি সময় চালানো হক নষ্ট হচ্ছে কি না?

৩. আমার বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ লাইন নেয়ার সময় মাসের শেষের দিকে নেয়া হয়েছিল। এজন্য সেই মাসের শেষের ৭ থেকে ৯ দিনের মত ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিলাম। যার বিল তারা আমার কাছে চায়নি। আমি আবার পরের মাস থেকে যথারীতি বিল পরিশোধ করতে থাকি। তাহলে কি উক্ত ৭ থেকে ৯ দিন ব্যবহার করা হক নষ্ট করা হয়েছে?

৪. অনেক সময় অনেকে কাজের পর বকশিশ দাবি করে। কিন্তু তাদের দাবি অনুযায়ী না দিয়ে কম বকশিশ দেয়া হলে কি হক নষ্ট করা হয়? আর বকশিশ দাবি করলে যদি না দেয়া হয় তাহলে কি হক নষ্ট করা হয়?

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখানে যেহেতু কোনো ধোকা মূলক কাজ নেই,তাই এ সার্ভিস ব্যবহার করা বৈধ হবে। 

(০২)
উক্ত ৫ দিন বেশি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই ৫ দিনের তো বিল দেয়নি,তাই জায়েজ হবেনা।
তবে বিষয়টি যদি কর্তৃপক্ষ যেনে নেয়,তাহলে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আপনার জন্য উক্ত ৭ থেকে ৯ দিন ব্যবহার করা হক নষ্ট করা হয়নি।

(০৪)
বখশিশ এটি যদি চুক্তি করা না হয়,তাহলে এটি অতিরিক্ত বিষয়। 
আপনি চাইলে দিতেও পারেন,চাইলে নাও দিতে পারেন।
আপনার ইচ্ছা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের দাবি অনুযায়ী না দিয়ে কম বখশিশ দেয়া হলে হক নষ্ট করা হয়না।আর তারা বখশিশ দাবি করলে যদি না দেয়া হয় তাহলেও হক নষ্ট করা হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
edited by
শাইখ প্রশ্নের উত্তর দেখার আগেই আমি ২ ও ৩ নং প্রশ্নটি একটু সংযোজন করে ফেলি। অনুগ্রহ করে ২ ও ৩ নং প্রশ্নটি আবার একটু দেখবেন। বিষয়টির জন্য ক্ষমা করবেন।
--------

১ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে, যদি সফটওয়্যার এর ফ্রি Trial ভার্শন চালানোর জন্য সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করার পর টেম্পোরারি ইমেইল দিয়ে অ্যাক্টিভ করে নিয়ে তা অফলাইনেও ব্যবহার করা হয়, তাহলে কি সমস্যা আছে? কেননা সফটওয়্যারটি অফলাইনেও ব্যবহার করা যায়। আর ৩০ দিনের Trial ভার্শন শেষ হলে পুনরায় অ্যাক্টিভ করার প্রয়োজন হয়। 

অনেক সময় টেম্পোরারি ইমেইল দ্বারা তৈরিকৃত অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবেও ইউজ করা হয়। সে ক্ষেত্রে সমস্যা আছে কি না? 
by (26 points)
শাইখ কমেন্ট টা একটু দেখবেন..
by (574,260 points)
জী,জবাব ঠিকই থাকবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...