বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
2153 নং আয়াতের ব্যখ্যায় আমরা বলেছি-লজ্জাস্থানকে স্পর্শ করলে কি অজু ভেঙ্গে যাবে?এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।বিশুদ্ধ কথা হল অজু ভঙ্গ হবে না।এবং এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।ঠিকতেমনি পুরুষ তার স্ত্রীকে স্পর্শ করলে তখনও অজু ভঙ্গ হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।লজ্জাস্থান বলতে প্রস্রাব পায়খানার রাস্তা সহ আশপাশ।তথা উক্ত অঙ্গের সমস্থই।যেমন পরুষের প্রস্রাব বের হওয়ার স্থান সহ সমস্ত পুরুষাঙ্গই লহমজ্জাস্থান।
কায়েশ বিন তালক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَتَوَضَّأُ أَحَدُنَا إِذَا مَسَّ ذَكَرَهُ؟ قَالَ: ” إِنَّمَا هُوَ بَضْعَةٌ مِنْكَ أَوْ جَسَدِكَ
এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করে যে, যে ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছে সে কি অজু করবে? রাসূল সাঃ বললেন, এটিতো তোমার একটি অঙ্গ বা বলেছেন তোমার শরীরের একটি অঙ্গ। [তাই এটি ধরলে অজু ভাঙ্গবে কেন?] {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬২৮৬}ইবনে হিব্বান, তাবারানী ইবনে হাযম একে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। আল্লামা আলী বিন মাদিনী রহঃ বলেন, এটি বুসরাহ রাঃ এর [গোপনাঙ্গ স্পর্শ করলে অজু ভেঙ্গে যাবার] হাদীসের তুলনায় এটি উত্তম।{আসারুস সুনান-৪৯}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লজ্জস্থানকে স্পর্শ করলে অজু ভঙ্গ হবে না।চায় উত্তেজিত অবস্থায়ই স্পর্শ করা হোক না কেন? এবং কাপড়হীন অবস্থায়ও স্পর্শ করা হোক না কেন?তবে উত্তেজিত অবস্থায় কিছু বের হলে তার হুবুম ভিন্ন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1689
(২)কেউ গান বাজালে তার গোনাহ হবে।এক্ষেত্রে আপনি নির্দোষ।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)
সামর্থ্যানুযায়ী আপনি পাপকাজে বাধা প্রদাণ করবেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( لا يكلّف الله نفساً إلا وسعها )
আল্লাহ সামর্থ্যর বাহিরে কাউকে কোনো দায়িত্ব দেননা।সুতরাং স্বপ্নদোষের কারণে রোযা ফাসাদ হবে না।
মাতাপিতাকে কঠোর কথা বলবেন না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।