বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শয়তান তো জান্নাতে হযরত আদম আঃ কেও ওয়াসওয়াসা দিয়েছিলো।
সুতরাং শয়তান দ্বারা কাবিলের প্ররোচিত হওয়া কোনো অসম্ভব বিষয় নয়।
(০২)
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
آَمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آَمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
তরজমা: রাসূল ঈমান আনয়ন করেছেন ঐ সকল বস্তু সম্পর্কে যা তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও। সবাই ঈমান রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর নবীগণের প্রতি। তারা বলে, আমরা তাঁর নবীগণের মাঝে কোন পার্থক্য করি না এবং তারা আরো বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা আপনার নিকট ক্ষমা চাই, ওহে আমাদের পালনকর্তা! আমরা সকলেই আপনারা দিকে প্রত্যাবর্তন করি। [সূত্র : সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৫।]
وَمَنْ يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
“যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাগণের উপর, তাঁর কিতাবসমূহের ওপর এবং তাঁর রাসূলগণের ওপর ও কিয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে”। [সূত্র: সূরা নিসা, আয়াত ১৩৬।
হাদীসে জিবরাঈলে উল্লেখ আছে, হযরত জিবরাঈল আ. আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে ছদ্মবেশে এসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ঈমান কাকে বলে? জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ
اَنْ تُؤ مِنَ بِا للّهِ وَمَلئِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه والْيَؤمِ الاَخِرِ وَتُؤْمِنُ بِا لْقَدْرِ خَيْرِه وَ شَرِّه
ঈমানের হাকীকত হলো, তুমি মনে-প্রাণে বদ্ধমূলভাবে বিশ্বাস স্থাপন করবে আল্লাহ তা‘আলার ওপর, তাঁর ফেরেশতাগণের ওপর, আসমানী কিতাবসমূহের ওপর, আল্লাহ তা‘আলার নবী-রাসূলগণের উপর, কিয়ামত দিবসের ওপর এবং তাকদীরের ভালো-মন্দ সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হওয়ার ওপর। [সূত্র: বুখারী খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১২ ও মুসলিম। মিশকাত শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১১]
উল্লেখিত আয়াত ও অত্যন্ত প্রসিদ্ধ এ হাদীসটি ‘ঈমানে মুফাসসাল’-এর ভিত্তি। ঈমানে মুফাসসালের মাধ্যমে এ কথাগুলোরই স্বীকৃতি জানানো হয় এবং মনে-প্রাণে বদ্ধমূল বিশ্বাসের ঘোষণা করা হয় যে,
أَ مَنْتُ باِ للهِ وَ مَلأَئِكَتِه وَ كُتُبِهِ وَرُسُلِه وَالْيَوْ مِ الأخِرِ وَالقَدْرِ خَيْرِه وَشَرِّه مِنَ ا للهِ تَعَالي والْبَعْثِ بَعْدَا لْمَوْتِ
আমি ঈমান আনলাম বা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিশ্বাস করলাম-১. আল্লাহ তা‘আলাকে, ২. তাঁর ফেরেশতাগণকে, ৩। তাঁর প্রেরিত সকল আসমানী কিতাবকে, ৪. তাঁর প্রেরিত সকল নবী-রাসূলকে, ৫. কিয়ামত দিবসকে অর্থাৎ সমস্ত বিশ্বজগত একদিন শেষ হবে, তাও বিশ্বাস করি, ৬। তাকদীরকে বিশ্বাস করি অর্থাৎ জগতে ভালো-মন্দ যা কিছু হয়, সবই আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্ট, তাঁরই পক্ষ হতে নির্ধারিত এবং মৃত্যুর পর কিয়ামতের দিন পুনর্বার জীবিত হতে হবে, তাও অটলভাবে বিশ্বাস করি।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সকল নবী রাসুল আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত নিয়েই এসেছিলেন।
সকলেই একই বিষয় নিয়েই এসেছেন ।
তাই আমরা যে সকল নবী রাসুলদেরকে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করি,এর দ্বারাই হয়ে যাবে।
শেষ নবীকে অনুসরণ করলে সকল নবি রাসুলকেই অনুসরণ করা হয়ে যাবে।
কেননা সকলেই একই বিষয় নিয়েই দুনিয়াতে এসেছেন।
সকলের ধর্ম ইসলাম ছিলো।
(০৩)
এক্ষেত্রে গুনাহ হবে।
গুনাহের দরুন আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
ইনশাআল্লাহ।
(০৪)
নামাজ হয়ে যাবে।
তবে অন্য সুরা মুখস্থ থাকলে ইচ্ছাকৃতভাবে এভাবে একই সুরা প্রত্যেক ওয়াক্তে পড়লে নামাজ মাকরুহ হবে।
(০৫)
বোরকা পড়া বাধ্যতামূলক নয়।
জামা পরে হিজাব করলেও হবে।
শুধু মাত্র চেহারা আর হাতের কবজি পর্যন্ত দেখানো যাবে।
★ছেলে দ্বীনদার কিনা বুঝার উপায় হলো,ছেলে নিম্নে একমুষ্ঠি দাড়ি রেখেছে কিনা,দেখতে হবে।
৫ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়ে কিনা,জেনে নিতে হবে।
রোযার বিধান পূর্ণ ভাবে পালন করার বিষয় জেনে নিতে হবে।
তার বাসায় বা যেখানে স্ত্রীকে রাখবে, সেখানে পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা আছে কিনা,সেটা জানতে হবে।
বিবাহের মধ্যে ও পরবর্তীতে বাসার মধ্যে ও বাসার বাহিরে স্ত্রীকে পূর্ণ ভাবে পর্দা করতে স্বামী বা স্বামীর পরিবারের কেউ বাধা দিবেনা,সেটা নিশ্চিত করে জেনে নিতে হবে।
(০৬)
পর্দা রক্ষার চেষ্টার পরেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ দেখে গেলে গুনাহ হবেনা।
১০ বছরের বড় ছেলে যেহেতু সাধারণত বালেগ হয়না,তাই বালেগ না হলে সে দেখলে গুনাহ হবেনা।
তবে সে যেহেতু বালেগ হওয়ার নিকটতম, তাই তার সামনেও পর্দা করা ফুকাহায়ে কেরামগন আবশ্যক বলেছেন।