আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আমার ভাই সাবালক এবং একজন সাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করে গোপনে।এক্ষেত্রে সাক্ষী তার বন্ধু হয়।কিন্তু অই মেয়ের ভরনপোষণ নেয়ার মতো সক্ষমতা তার নেই।তার এই বিয়ে বাবা মা মেনে নিচ্ছেনা।তারা তাকে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং কোন রকম সাহায্য করবেন না বলে দেয়।কিন্তু আমার ভাই পরিবার ছাড়া এক প্রকার নিস্বঃ যে নিজের খরচও ঠিক মতো চালাতে পারছেনা।অই মেয়ের সাথে তাদের একত্রে থাকাও হয়নি।

১/সে কি এখন চাইলে মেয়েকে ডিভোর্স দিতে পারবে?

২/বাবা মা কি ছেলেকে মেনে না নেয়ার জন্য গুনাহগার হবে?

৩/ছেলের এই ডিভোর্সে বাবা মা সাপোর্ট করলে তারা কি ডিভোর্সের গুনাহের ভাগিদার হবে?
বিদ্রুপ মেয়েটি ডিভোর্স চায়না কিন্তু সে ছেলেকে নিয়ে একাও থাকতে পারবেনা যেহেতু তাদের বয়সও কম,ইনকামও নেই।মেয়ের বাবা মাও যদি এক্ষেত্রে রাজি না হয় কিংবা রাজি হয়ে যায় এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত কি হবে?

ছেলের বাবা মূলত সমাজে নিজের সম্মান,  উল্লেখিত ছেলের অবিবাহিত বড় ভাই বোনের বিয়ে,অধিক ঋণের বোঝা এবং নিজের নিম্ন আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে তাকে মেনে নিচ্ছেনা এবং নিবেনা বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া ছেলে অশিক্ষিত এবং মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়ায় ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা হবে আশংকা করে বর্তমানেই তা সমাধান করতে চাইছে।

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/48665?show=48825#a48825 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানাতাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

 

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যেতাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

 

সর্বদা পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ও তাদের কথা মান্য করা সন্তানের দায়িত্ব৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যেতাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল২৩)

 

(অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/4801/)

নিজে নিজে বিয়ে সম্পর্কে আরো জানুন- https://ifatwa.info/2730/

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

মাতাপিতার পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। সকলের জন্য উচিত হলো  মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে প্রশ্নে উল্লেখিত  বিয়ে করা। যেকোনো মেয়েকে/ছেলেকে বিবাহের ক্ষেত্রে পরিবারকে বুঝিয়ে রাজি করানো জরুরি।  পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে অব্যাহত রাখা উচিত। আমরা কাউকে পালিয়ে বা গোপন বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা।

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 

তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করেতথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করেযার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করেতাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/  

  

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

  

১. আপনারা ভাই তো বিয়ে করেই ফেলেছেন। তাই এখন তার কাজ হলো যেভাবেই হোক বিয়ের বিষয়টা পিতা-মাতাকে বলে রাজী করানো।  বিয়ের বিষয়টা আত্মীয়ের মধ্যে যাকে বললে সে মেনে নিবে তাকে আগে বুঝিয়ে বলা। যেমন ভাইবোনখালাদাদী-নানী। তারপর তার মাধ্যমে পিতা মাতাকে রাজী করানো। আশা করি রাজী হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

 

২. না, এখন ছেলের জন্য মেয়েকে ডিভোর্স দেওয়া জায়েজ হবে না, দিলে গোনাহ হবে। উল্লেখ্য যে, এই সমস্যাগুলো বিয়ে করার আগাই ভাবা দরকার ছিলো।

৩-৪. এখন ছেলের বাবা-মার জন্য উচিৎ হলো বিয়েটা মেনে নেওয়া। কারণ, বিয়ের আগেই ছেলের সম্পর্কে ভালোভাবে খোজ-খবর রাখার দরকার ছিলো। ছেলে কোনো হারাম সম্পর্কে লিপ্ত কি না ইত্যাদি। এখন যখন বিয়ে করেই ফেলেছে তখন পিতা-মাতার জন্য করণীয় হলো বিয়েটা মেনে নেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...