বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/48665?show=48825#a48825 নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানা, তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত
কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।
আল্লাহ
তাআলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ
حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ
ثَلَاثُونَ شَهْرًا
আমি
মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে
গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য
ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)
আল্লাহ
তা'আলা আরও বলেন,
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ
وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا
أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا
قَوْلاً كَرِيمًا
তোমার
পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে
ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে
কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো
না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী
ইসরাঈল-২৩)
সর্বদা
পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ও তাদের কথা মান্য করা সন্তানের দায়িত্ব৷ আল্লাহ
তায়ালা বলেন-
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ
وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ
أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا
وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার
পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে
ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে
কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো
না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৩)
(অভিভাবক
ছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/4801/)
নিজে
নিজে বিয়ে সম্পর্কে আরো জানুন- https://ifatwa.info/2730/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার
পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। সকলের জন্য উচিত হলো মাতাপিতা
এবং পারিবারিক ভাবে প্রশ্নে উল্লেখিত বিয়ে করা। যেকোনো
মেয়েকে/ছেলেকে বিবাহের ক্ষেত্রে পরিবারকে বুঝিয়ে রাজি করানো জরুরি। পারিবারিক
ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে অব্যাহত রাখা উচিত। আমরা কাউকে পালিয়ে বা
গোপন বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়তের
বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও
পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক
বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না
জানুক।
তবে
যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা
এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার
কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে
ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে
পিতা এ অধিকারও পাবে না।
কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ https://www.ifatwa.info/4541/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
১. আপনারা ভাই তো বিয়ে করেই ফেলেছেন। তাই এখন
তার কাজ হলো যেভাবেই হোক বিয়ের বিষয়টা
পিতা-মাতাকে বলে রাজী করানো। বিয়ের বিষয়টা আত্মীয়ের মধ্যে
যাকে বললে সে মেনে নিবে তাকে আগে বুঝিয়ে
বলা। যেমন ভাই, বোন, খালা, দাদী-নানী। তারপর তার মাধ্যমে পিতা মাতাকে রাজী করানো। আশা করি রাজী হয়ে যাবে
ইনশাআল্লাহ।
২. না, এখন ছেলের জন্য মেয়েকে
ডিভোর্স দেওয়া জায়েজ হবে না, দিলে গোনাহ হবে। উল্লেখ্য যে, এই সমস্যাগুলো বিয়ে
করার আগাই ভাবা দরকার ছিলো।
৩-৪. এখন ছেলের বাবা-মার জন্য উচিৎ হলো বিয়েটা
মেনে নেওয়া। কারণ, বিয়ের আগেই ছেলের সম্পর্কে ভালোভাবে খোজ-খবর রাখার দরকার ছিলো।
ছেলে কোনো হারাম সম্পর্কে লিপ্ত কি না ইত্যাদি। এখন যখন বিয়ে করেই ফেলেছে তখন
পিতা-মাতার জন্য করণীয় হলো বিয়েটা মেনে নেওয়া।