আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
edited by
১. আমি পূর্বে এক জায়গায় প্রাইভেট পড়তাম। সেখানে আমার কিছু বকেয়া আছে। সে সময় আমার বাবা আমাকে প্রাইভেটের জন্য টাকা দিত। এখন যদি আমি সেটা পরিশোধ করতে চায় তাহলে " আমার পক্ষ থেকে দিলাম " এই নিয়তে দিলে হবে? নাকি বাবার পক্ষ থেকে দেয়ার নিয়ত করতে হবে? নাকি শুধু হক আদায় করার নিয়তে দিলেই হবে?

২. কাউকে কোনো জিনিস দিতে চাওয়া হলো। কিন্তু সে সেটা গ্রহণ করলো না। তাহলে কি সেটার মালিকানা যে জিনিসটি দিতে চাইলো তারই থাকবে?

৩. কোনো ব্যক্তির থেকে কোনো জিনিস নেয়া হলো। নেয়ার সময় উক্ত ব্যক্তি বলেনি যে, জিনিসটি ফেরত দিতে হবে। এবং যে নিয়েছে সেও বলেনি যে, পরে সে ফেরত দিবে। তাহলে কি সেটা ফেরত দেয়া বাধ্যতামূলক? আর যদি ফেরত দিয়েও দেয় তাহলে যে ব্যক্তি জিনিসটি দিয়েছিল তার জন্য সেটা নেয়া ঠিক হবে কি না?

৪. কোনো বন্ধুকে কিছু টাকা ধার দিলাম। কিন্তু দেয়ার সময় মুখে বলা হয় নি যে ধার দিচ্ছি। কিন্তু ধার দেয়ার নিয়তেই দিয়েছি। এবং যে নিয়েছে সেও হয়তো জানে সে ধার নিচ্ছে। তাহলে কি সেই টাকা পরে ফেরত নেয়া যাবে? " টাকা ফেরত দেয়া লাগবে না " এমন কোনো কথাও বলা হয় নি।

৫. কাউকে না জানিয়ে তার জিনিস খুলে দেখা হলো। কিন্তু কোনো ক্ষতি করা হয়নি। বিষয়টি জানাতে গেলে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা থাকলে কি করা যেতে পারে?

৬. নিজের কেনা বই কাউকে পড়ার জন্য দেয়া যাবে কি? যদি তা কপিরাইট কৃত বই হয়?

৭. একজন বন্ধুর কেনা বই (কপিরাইট কৃত) থেকে পড়ার উদ্দেশ্যে বইয়ের ছবি তুলে রাখা যাবে কি? সে যদি আমাকে পড়ার জন্য বইটি দেয় তাহলে তার অনুমতি ছাড়া বইয়ের ছবি তোলা যাবে কি?

৮. অনলাইনে বা অফলাইনে কোনো কিছু কেনার সময় যদি দেখা যায় যে বিকাশ বা নগদ পেমেন্টে ২০% ক্যাশব্যাক। তাহলে কি এই সিস্টেমে কেনা যাবে? যদি কেনা যায় তাহলে কি উক্ত ক্যাশব্যাক গ্রহণ করা যাবে?

৯. ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করতে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে বা জানা না গেলে সেগুলো ডাউনলোড করা এবং অন্যের ডিভাইসে শেয়ার করা যাবে কি?

১০. পরীক্ষার সময় কোনো বিষয়ের উপর ধারণা থাকলে সেটার উপর বিভিন্ন বিষয় নিজের আইডিয়া অনুযায়ী বানিয়ে লেখা হয়। কারণ হুবহু লেখা সম্ভব হয় না। আর ভুলত্রুটি হলে তো তার জন্য এমনিতেই মার্ক কম পাওয়া যায়। উক্ত বানিয়ে লেখার কাজটি জায়েজ আছে কি না?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি শুধুমাত্র হক আদায়ের নিয়তে দিয়ে দিবেন।


(২)
কাউকে কোনো জিনিস দিতে চাওয়া হলো। কিন্তু সে সেটা গ্রহণ করলো না। তাহলে সেটার মালিকানা যে জিনিসটি দিতে চাইলো তারই থাকবে।

(৩)
কোনো ব্যক্তির থেকে কোনো জিনিস নেয়া হলো। নেয়ার সময় উক্ত ব্যক্তি বলেনি যে, জিনিসটি ফেরত দিতে হবে। এবং যে নিয়েছে সেও বলেনি যে, পরে সে ফেরত দিবে। তাহলে সেটা ফেরত দেয়া বাধ্যতামূলক।কেননা সমাজে এটাই সাধারণ নিয়ম যে, জিনিষটি নেয়ার পর ফিরিয়ে দেয়া হবে। যদি ফেরত দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে যে ব্যক্তি জিনিসটি দিয়েছিল তার জন্য সেটা নেয়া সঠিক হবে। 

(৪) 
কোনো বন্ধুকে কিছু টাকা ধার দিলাম। কিন্তু দেয়ার সময় মুখে বলা হয়নি যে, ধার দিচ্ছি। কিন্তু ধার দেয়ার নিয়তেই দিয়েছি। এবং যে নিয়েছে সেও হয়তো জানে সে ধার নিচ্ছে। তাই সমাজের সাধারণ নিয়ম অনুসারে সেই টাকা পরে ফেরত নেয়া যাবে।কেননা " টাকা ফেরত দেয়া লাগবে না " এমন কোনো কথা দাতা বলেনি।

(৫)
কাউকে না জানিয়ে তার জিনিস খুলে দেখা হলো। কিন্তু কোনো ক্ষতি করা হয়নি। বিষয়টি জানাতে গেলে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা থাকলে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

(৬) 
নিজের কেনা বই কাউকে পড়ার জন্য দেয়া যাবে। যদিও তা কপিরাইট কৃত বই হয় না কেন।

(৭)
একজন বন্ধুর কেনা বই (কপিরাইট কৃত) থেকে পড়ার উদ্দেশ্যে বইয়ের ছবি তুলে রাখা যাবে, তবে সে যদি বইটিকে পড়ার জন্য দেয় তাহলে তার অনুমতি ছাড়া বইয়ের ছবি তোলা যাবে না।

(৮)
অনলাইনে বা অফলাইনে কোনো কিছু কেনার সময় যদি দেখা যায় যে, বিকাশ বা নগদ পেমেন্টে ২০% ক্যাশব্যাক। তাহলে এই সিস্টেমে কেনা যাবে।এবং  উক্ত ক্যাশব্যাক কেও গ্রহণ করা যাবে।

(৯)
ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করতে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে বা জানা না গেলে সেগুলো ডাউনলোড করা এবং অন্যের ডিভাইসে শেয়ার করা যাবে। 

(১০)
জ্বী, নিজের পক্ষ্য থেকে সংযোজন ও সৃজিত করে লেখা যাবে।এটার নামইতো মেধার পরীক্ষা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
শাইখ বাকি প্রশ্ন গুলোর উত্তর তো দেয়া হয়নি।
by (589,140 points)
বাকী প্রশ্নগুলো আপনি কখন করেছেন। প্রথমে এগুলো ছিলনা 
by (589,140 points)
+1
বাকি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...