জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরয়ী বিধান হলো স্ত্রী যদি স্বামী কর্তৃক তালাক দেওয়ার ক্ষমতা পায়,তাহলে স্ত্রী যদি বলে যে আমি স্বামীর দেওয়া ক্ষমতা বলে নিজেকে নিজে তালাক প্রদান করিলাম।
তাহলে তালাক পতিত হবে।
চাই সেটা কাজীর মাধ্যমেই তালাক দিক,বা মোবাইলে মেসেজেই বলুক,বা সামনা সামনি বলুক।
সব ছুরতেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি স্বামী থেকে তালাক প্রদানের মৌখিক,বা লিখিত অনুমতি পান,বা বিবাহের রেজিষ্টার কপিতে ১৮ নং ধারায় স্বামী জেনে বুঝে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়ে থাকে,আর এই রেজিস্ট্রার বিবাহ পড়ানোর পর লিখিত হয়,আর আপনি তালাক প্রদানের সময় মৌখিক বা লিখিত এই শব্দ ব্যবহার করেন যে আমি আমার স্বামীর দেওয়া ক্ষমতা বলে নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করিলাম,বা সেই ক্ষমতা বলে নিজেকে নিজে তালাক প্রদান করিলাম।
তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
,
মহিলারা কখন এবং কিভাবে তালাক দিতে পারে,,বিস্তারিত জানুন
,
স্বামী যেখানেই থাক, যদি সে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে থাকে তাহলে স্ত্রীর জন্য ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া উসমানী ২/৪৫১)
আর ইদ্দত শুরু হবে, তালাক সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময় থেকে তিন হায়েয পরিমাণ। তিন হায়েয শেষ হওয়ার আগে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ
আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। (সূরা বাকারা-২২৮)
যদি উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে স্ত্রী তালাক প্রদান করে,তাহলে তালাকের সময় থেকে নিয়েই তার ইদ্দতের সময় শুরু হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে তার নিয়ত থাকুক বা না থাকুক,ইদ্দত তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইদ্দত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ