بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
তিন সময়ে নামাজ পড়তে হাদীস শরীফে নিষেধ
করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الشَّمْسُ تَطْلُعُ وَمَعَهَا
قَرْنُ الشَّيْطَانِ فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا
فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا
غَرَبَتْ فَارَقَهَا " . وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ
الصَّلاَةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ .
আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুর্য শয়তানের
দুই শিঙের মধ্য দিয়ে উদিত হয়। যখন সুর্য উপরে উঠে, তখন শয়তান তা থেকে দুরে সরে যায়। আবার
যখন সুর্য মাথার উপর আসে, তখন শয়তান
এসে মিলিত হয়। আবার ঢলে পড়লে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন সুর্য অস্তগমনের নিকটবর্তী হয়, তখন শয়তান মিলিত হয় এবং যখন সুর্য অস্তমিত
হয়, তখন শয়তান সরে যায়। এ জন্যই
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিন সময় সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন
( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬০)
অন্য হাদীসে এসেছে-
عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ،
يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا
أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ
الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ
حَتَّى تَمِيلَ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .
উকবা ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনটি সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করতে ও মৃত ব্যাক্তিকে কবরস্থ করতে নিষেধ করেছেন (১)
যখন সুর্য আলোকিত হয়ে উদয় হয়, যাবৎ না ঊর্ধাকাশে উঠে; (২) যখন দ্বিপ্রহর হয়, যাবৎ না সুর্য হেলে পড়ে আর (৩) যখন সুর্য
অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়, যাবৎ না
সম্পূর্ণ অস্ত যায়।( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬১)
তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর হুদুস অথবা নামাজ ভাঙ্গার
কোনো কারণ সংঘটিত হলে উক্ত নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عن عليِّ بن أبي طالب - رضي الله عنه - إذا
جلسَ قدرَ التشهدِ ثم أحدثَ تمَّتْ صلاتُه.
যদি তাশাহহুদ পরিমাণ বৈঠক করে অতঃপর কোন হুদুস সংঘটিত
হয় তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। (আল-খুলাসা, ১/৪৫০)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেখানে অবস্থান করছেন সেই
সময় সেট করে সূর্যাদয়ের সময় দেখবেন। জেলাভেদে সূর্যাদয়ের সময় কম-বেশী
হয়। সুতরাং তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর নিষিদ্ধ সময় (সূর্যাদয় হলে) শুরু হলে তাহলে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে গেছে। পুনরায়
আর কাযা করা লাগবে না। আর যদি তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার আগেই নিষিদ্ধ সময় (সূর্যাদয়
হলে) শুরু হলে তাহলে আপনার নামাজ হবে না। পুনরায় আপনাকে উক্ত নামাজ কাযা করতে হবে।
সুতরাং সতর্কতা মূলক আপনার জন্য উত্তম হবে ফজরের দুই রাকাত
কাযা পড়ে নেওয়া। যদি পূর্বের নামাজ ওয়াক্তমত হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী আদায়কৃত নামাজ হবে
নফল। আর বিপরীত হলে পরবর্তী নামাজ কাযা হিসেবে আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।