আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম

অনেক প্রশ্ন একসাথে করলাম
ওযুর সময় এক অংগ বারবার ধোয়া,মনে হচ্ছে কম বেশি ধুয়েছি,নামাজের রাকাত নিয়ে বারবার সন্দেহ আসা,
সুরা ভুল পড়লাম নাকি সন্দেহ এসে আবার পুনরায় পড়া,নামাযে ভুল হয়েছে মনে করে সিজদাহ সাহু দেয়া
ফরজ গোসলে সবখানে পানি যায়নি সন্দেহ করে ঘন্টার পর ঘন্টা বাথরুমে থেকে সময় ব্যয় করা সাথে পানিও,
হায়েজ বা সহবাসের পর সবকিছু নাপাক লাগা,
কাপড় ধোয়ার পরও নাপাক মনে হওয়া,কোন একটা বিষয় নিয়ে সন্দিহান হলে নেগেটিভটাকেই প্রাধান্য দেয়া এবং সবসময় এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে স্বাভাবিক কাজ কর্ম ব্যাহত করা

১।এগুলোই কি ওয়াসওয়াসা?

২।অতীতে বাবার সাথে তার মেয়ের স্পর্শ বা দৃষ্টির দ্বারা হুরমত হয়েছে কিনা এই ব্যাপারে কোন ঘটনা সঠিকভাবে মনে নেই তাহলে তো হুরমত হবে না ।আমার বুঝ কি ঠিক? বাবা ও মেয়ে জানতই না হুরমত কি।বাবা প্রকৃতপক্ষে খুবই ভালো মানুষ তাই বাবা ও মেয়ে কেউই মনে হয়না কামভাব নিয়ে একজন অন্যজনকে স্পর্শ করেছে বা দৃষ্টি দিয়েছে তারপরও আল্লাহ না করুক হয়ত এমন কিছু হয়েছে যেটা মাসয়ালা জানার পরও সঠিকভাবে মনে পরছে না তাহলেও তো হুরমত হবে না তাই নয় কি??

৩।পিতা বা ভাইকে নিয়ে উল্টাপাল্টা চিন্তা যেগুলো ইচ্ছাকৃত না (কেমন চিন্তা বুঝে নিবেন )আসার সময় কখনো তাদের স্পর্শ বা দৃষ্টি দিয়েছে কিনা তাও মনে না থাকলে কি হুরমত সাব্যস্ত হবে?(ভাইয়ের সাথে তো হুরমত হয়না,পিতার সাথে হয় তাই প্রশ্ন করা)

৪।হুরমত,কেনায়া বাক্য এইসব জানার পরে কাউকে না জানালে কি গুনাহগার হবে?

৫।কোন মানুষ যদি নাই জানে সে কোন মাযহাব অনুসরণ করে তাহলে সে কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানার পরে তার উপর কেমন বিধিনিষেধ আরোপ হবে?

৬।একজন ব্যক্তি জানেইনা সে কোন মাযহাব মানে কারণ পরিবার থেকে তেমন কোন শিক্ষা পাইনাই।আর মাযহাব মানার দরকার আছে কুরআন ও হাদিস ভালোভাবে বুঝতে সেটাও জানত না। মাযহাব না মানলে কি গুনাহ হবে?গুনাহ তো হওয়ার কথা না কারণ ব্যক্তির তার নিয়ত ও কর্মের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে মাযহাব না মানার জন্য নয়( এগুলো জানার জন্য  প্রশ্নে করা)

৭।ইসলাম তো এত কঠিন না তারপরও মাঝে মধ্যে কিছু জিনিস আছে যেগুলো আমাদের হাতে নেই কিন্তু তার জন্যেও বান্দাকে শাস্তি পেতে হয় মাযহাবের বিধিনিষেধ পালন করতে গিয়ে।এগুলো কি শিথিল করতে পারে না?( জানার জন্য)

৮।জানার জন্য মাসয়ালা পড়তে গিয়ে বর্তমান জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

ফতোয়াকারে উত্তর না দিয়ে প্রশ্নের আলোকে উত্তর দিবেন
অনুবাদকৃত ফতোয়া অনেকসময় বুঝা মুসকিল হয়

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
জ্বী, এগুলো ওয়াসওয়াসা। যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা বা সন্দেহ আসবে, সাথে সাথেই অজু করে নিয়ে দু'রাকাত নামায পড়ে নিবেন।

(২)
অতীতে বাবার সাথে তার মেয়ের স্পর্শ বা দৃষ্টির দ্বারা হুরমত হয়েছে কিনা এই ব্যাপারে কোন ঘটনা সঠিকভাবে মনে নেই তাহলে হুরমত হবে না । এ নিয়ে অযথা বেশী টেনশন করা যাবে না।

(৩)
পিতা বা ভাইকে নিয়ে উল্টাপাল্টা চিন্তা যেগুলো ইচ্ছাকৃত না (কেমন চিন্তা বুঝে নিবেন )আসার সময় কখনো তাদের স্পর্শ বা দৃষ্টি দিয়েছে কিনা তাও মনে না থাকলে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।

(৪)
হুরমত,কেনায়া বাক্য এইসব জানার পরে কাউকে না জানালে গুনাহগার হবে না।

(৫)
কোন মানুষ যদি নাই জানে সে কোন মাযহাব অনুসরণ করে, তাহলে সে যখন কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যেই মুফতি সাহেবের কাছে জিজ্ঞাসা করবে,ঐ মুফতি সাহেবের মাযহাবকেই ফলো করবে।

(৬)
একজন ব্যক্তি জানেইনা সে কোন মাযহাব মানে, কারণ পরিবার থেকে তেমন কোন শিক্ষা পায় নাই।আর মাযহাব মানার দরকার আছে কুরআন ও হাদিস ভালোভাবে বুঝতে সেটাও জানত না। মাযহাব না মানলে কি গুনাহ হবে ঠিক।তবে আ'মল না করার কারণে গোনাহ হবে। এটা নিশ্চিত যে, যে ব্যক্তি মাযহাব জানবে না সে  নামায রোযা ইত্যাদি কোনো আ'মলই করবে না।

(৭)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট।

(৮)
জানার জন্য মাসয়ালা পড়তে গিয়ে বর্তমান জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে, এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হল, সরাসরি কোনো শিক্ষকের কাছে জানবেন।তাহলে সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 277 views
0 votes
1 answer 259 views
...