ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/8450/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি
যে,
তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করা ওয়াজিব।সুতরাং
এ সিজদা আদায় না করলে কবীরা গোনাহ হয়।
তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করারর নিয়ম
ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-
এক. হাত না উঠিয়ে দাঁড়ানো থেকে আল্লাহু
আকবার বলে সোজা সিজদায় চলে যেতে হবে।
দুই. সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা
তিনবার পড়ে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়াতে হবে।
তিন. সিজদা মাত্র একটি হবে।
চার. এতে তাশাহ্হুদ নেই, সালামও নেই।
পাঁচ. তিলাওয়াতে সেজদার জন্য হাত
উঠাতে বা হাত বাঁধতে হবে না এবং দুটি সেজদাও করতে হবে না।
ছয়. নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যেসব
শর্ত আছে
যেমন-অজু থাকা, জায়গা পাক, শরীর পাক, কাপড় পাক এবং কেবলামুখি হওয়া ; ইত্যাদি তিলাওয়াতের
সিজদার জন্যও এসব শর্ত প্রযোজ্য।
□ ধুমপান করা
নাজায়েয। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে
নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
ويُحِلُّ
لهم الطيبات ويُحَرِّمُ عليهم الخبائث
আল্লাহ তা'আলা খাদ্যদ্রব্যর
মধ্যে শুধুমাত্র পবিত্র ও ফায়দাজনক খাদ্যকেই হালাল সাব্যস্ত করেছেন এবং ক্ষতিকারক জিনিষকে
হারাম সাব্যস্ত করেছেন। (সূরা আ'রাফ-১৫৭)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত সূরাতে যেহেতু আয়াতে সেজদা আছে। তাই উক্ত সূরা তেলাওয়াত করলে সেজদা দিতে হবে। সুতরাং উক্ত সূরা প্রতি রাতে তেলাওয়াত করলে প্রতি রাতেই (আবার চাইলে পরেও দিতে পারবে) তেলাওয়াতে সেজদা দিতে হবে।
২. জ্বী হ্যাঁ, ধুমপানকারীকে
গোনাহগার বা ফাসেক বলা যেতে পারে। আর ধুমপান করা যেহেতু নাজায়েজ। তাই ধুমপানরত
(ধুমপান অবস্থায়) ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া যাবে না।