আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম

প্রতিদিন রাতে সূরা সাজদা তেলাওয়াত করলে কি সিজদা দিতে হবে?

সিগারেট খাওয়া যেহেতু হারাম তাই যে সিগারেট খায় সে কি ফাসেক? সিগারেট খাওয়া অবস্থায় কাউকে সালাম দেওয়া যাবে বা তার সালাম নেওয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/8450/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করা ওয়াজিব।সুতরাং এ সিজদা আদায় না করলে কবীরা গোনাহ হয়।

 

তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করারর নিয়ম ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-

 

এক. হাত না উঠিয়ে দাঁড়ানো থেকে আল্লাহু আকবার বলে সোজা সিজদায় চলে যেতে হবে।

দুই. সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা তিনবার পড়ে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়াতে হবে।

তিন. সিজদা মাত্র একটি হবে।

চার. এতে তাশাহ্হুদ নেই, সালামও নেই।

পাঁচ. তিলাওয়াতে সেজদার জন্য হাত উঠাতে বা হাত বাঁধতে হবে না এবং দুটি সেজদাও করতে হবে না।

ছয়. নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যেসব শর্ত আছে

যেমন-অজু থাকা, জায়গা পাক, শরীর পাক, কাপড় পাক এবং কেবলামুখি হওয়া ; ইত্যাদি তিলাওয়াতের সিজদার জন্যও এসব শর্ত প্রযোজ্য।

 

ধুমপান করা নাজায়েয। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

ويُحِلُّ لهم الطيبات ويُحَرِّمُ عليهم الخبائث

আল্লাহ তা'আলা খাদ্যদ্রব্যর মধ্যে শুধুমাত্র পবিত্র ও ফায়দাজনক খাদ্যকেই হালাল সাব্যস্ত করেছেন এবং ক্ষতিকারক জিনিষকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন। (সূরা আ'রাফ-১৫৭)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


. প্রশ্নোক্ত সূরাতে যেহেতু আয়াতে সেজদা আছে তাই উক্ত সূরা তেলাওয়াত করলে সেজদা দিতে হবে। সুতরাং উক্ত সূরা প্রতি রাতে তেলাওয়াত করলে প্রতি রাতেই (আবার চাইলে পরেও দিতে পারবে) তেলাওয়াতে সেজদা দিতে হবে। 

২. জ্বী হ্যাঁ, ধুমপানকারীকে গোনাহগার বা ফাসেক বলা যেতে পারে। আর ধুমপান করা যেহেতু নাজায়েজ। তাই ধুমপানরত (ধুমপান অবস্থায়) ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...