আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
88 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
আমি বিয়ের আগের স্ত্রীদের তালাকের অধিকার সম্পর্কে জানতাম। কিন্তু আমার বিয়েতে কাবিননামায় সাইন নেওয়ার সময় সেই বিষয়টি মাথায় ছিল না। কাজি সাহেব আমাকে সাইন করার সময় কিছু জিজ্ঞেস করে নাই। বিয়ের ছবিতে দেখলাম আমি সাইন করার সময় ১৮ ও ১৯ নং ধারাটি খালি ছিল। অর্থাৎ আমি যখন সাইন করি তখন ১৮ ও ১৯ নং ধারা খালি ছিল।

বিয়ের কিছু দিন পর স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করল তার তালাক নেওয়ার অধিকার আছে কি না।

তখন আমি স্ত্রীকে বললাম, "আমাকে কাবিননামা পূরন করতে দিলে আমি তোমাকে তালাক নেওয়ার অধিকার দিতাম না। কাজি তোমাকে তালাক নেওয়ার অধিকার দিয়ে দিসে।"

আমার এই কথা "কাজি তোমাকে তালাক নেওয়ার অধিকার দিয়ে দিসে" বলার কারন হলো, আমি জানতাম যে কাজিরা অধিকার দিয়ে দেয়। এই কথাটি এই ধারণা থেকে স্ত্রীকে বলেছিলাম। আর তখন জানতাম না যে স্বামী থেকে কাজি সাহেব মতামত না নিয়ে স্ত্রীকে অধিকার দিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।

"কাজি তোমাকে তালাক নেওয়ার অধিকার দিয়ে দিসে" আমার এই কথার জন্য কি স্ত্রী তালাক নেওয়ার অধিকার পেয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (719,600 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4506

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"কাজী তোমাকে তালাক নেওয়ার অধিকার দিয়ে দিসে"
আপনার এই কথার জন্য স্ত্রী তালাক নেওয়ার অধিকার পাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...