আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
986 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
শব্দ করে এমন অলংকার মাহরামদের সামনে পড়াও কি নাজায়েজ বা হারাম? ঝুন ঝুন আওয়াজ হয় এমন নুপূর বা রেশমি চুড়ি এ জাতীয় কিছু। এগুলো কি সম্পূর্ণ হারাম? নাকি না পড়া উত্তম। বললে ভালো হতো।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
1265 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি, ঘন্টা সম্বলিত হাদীস হচ্ছে নিম্নরূপ।
ﺑﺎﺏ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺠﺮﺱ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﻔﺮ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺼﺤﺐ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺭﻓﻘﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﻛﻠﺐ ﻭﻻ ﺟﺮﺱ
তরজমাঃহযরত আবু-হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ ঐ দলের সাথে (রহমতের)ফেরেস্তারা সহযাত্রী হন না, যাদের মধ্যে কুকুর বা ঘন্টা বা তার আওয়াজ রয়েছে।(সহীহ মুসলিম-২১১৩)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদিসের আলোকে ফেকহী আলোচনার এক প্রর্যায়ে বলেনঃ
[ ﺹ : 278 ﺃﻣﺎ ﻓﻘﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻓﻔﻴﻪ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﺳﺘﺼﺤﺎﺏ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺠﺮﺱ ﻓﻲ ﺍﻷﺳﻔﺎﺭ ، ﻭﺃﻥ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻻ ﺗﺼﺤﺐ ﺭﻓﻘﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﺃﺣﺪﻫﻤﺎ ، ﻭﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﺎﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﺍﻻﺳﺘﻐﻔﺎﺭ ، ﻻ ﺍﻟﺤﻔﻈﺔ ، ﻭﻗﺪ ﺳﺒﻖ ﺑﻴﺎﻥ ﻫﺬﺍ ﻗﺮﻳﺒﺎ ، ﻭﺳﺒﻖ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﺤﻜﻤﺔ ﻓﻲ ﻣﺠﺎﻧﺒﺔ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺑﻴﺘﺎ ﻓﻴﻪ ﻛﻠﺐ . ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﺠﺮﺱ ﻓﻘﻴﻞ : ﺳﺒﺐ ﻣﻨﺎﻓﺮﺓ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻟﻪ ﺃﻧﻪ ﺷﺒﻴﻪ ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﻗﻴﺲ ، ﺃﻭ ﻷﻧﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻌﺎﻟﻴﻖ ﺍﻟﻤﻨﻬﻲ ﻋﻨﻬﺎ ، ﻭﻗﻴﻞ : ﺳﺒﺒﻪ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺻﻮﺗﻬﺎ ، ﻭﺗﺆﻳﺪﻩ ﺭﻭﺍﻳﺔ ( ﻣﺰﺍﻣﻴﺮ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ) ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﺬﻱ ﺫﻛﺮﻧﺎﻩ ﻣﻦ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﻟﺠﺮﺱ ﻋﻠﻰ ﺍﻹﻃﻼﻕ ﻫﻮ ﻣﺬﻫﺒﻨﺎ ، ﻭﻣﺬﻫﺐ ﻣﺎﻟﻚ ﻭﺁﺧﺮﻳﻦ ﻭﻫﻲ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺗﻨﺰﻳﻪ ، ﻭﻗﺎﻝ ﺟﻤﺎﻋﺔ ﻣﻦ ﻣﺘﻘﺪﻣﻲ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﺸﺎﻡ : ﻳﻜﺮﻩ ﺍﻟﺠﺮﺱ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ
তরজমাঃউক্ত হাদীস থেকে নিম্নোক্ত কথাগুলো অনায়াসেই বুঝা যায় যে,কুকুর(পাহারাদার বা শিকারি কুকুর ব্যতীত) বা ঘন্টাকে সফরে সাথে রাখা মাকরুহে তাহরীমি।এবং ফেরেস্তাগণ ঐ সব দলের সহযাত্রী হন না, যাদের সাথে এ দুয়ের যেকোনো একটি থাকে।ফেরেস্তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল,রহমত বা ইস্তেগফারের ফেরেস্তা,হেফাযতকারী ফেরেস্তাগণ নয়।এর আলোচনা ইতিপূর্বে হয়েছে,এবং ফেরেস্তাগণ কুকুর থেকে কেন দূরে থাকেন তারও বিশদ আলোচনা হয়েছে।এখন ঘন্টা বাজনার বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ।এত্থেকে ফেরেস্তাগণ দূরে থাকার কারণ হল,ঘন্টার আওয়াজ ইহুদিদের নিষিদ্ধ শিংগার আওয়াজ সদৃশ।অথবা তা নিষিদ্ধ তাবিজ সদৃশ।কেউ কেউ তা অপছন্দ হওয়ার কারণ শ্রুতিকটু আওয়াজ ও উল্লেখ করেছেন।এই ব্যখ্যাকে ঐ হাদীস সমর্থন প্রদান করে যেথায় নবীজী সাঃ ঘন্টাকে শয়তানের বাশী বলে উল্লেখ করেছেন।এই ব্যখ্যা অনুসারেই স্বাভাবিকত ঘন্টাকে মাকরুহে তাহরীমি  হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়।এবং এটাই আমাদের শাফেয়ী মাযহাবের অভিমত।ইমাম মালিক সহ অন্যান্যদের মন্তব্য হল ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহে তানযিহি।শামের প্রাচীন উলামায়ে কেরামদের বক্তব্য হল,বড় ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহ, ছোট ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহ নয়।

রেশম পরিধান করা হারাম।হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
سَمِعْتُ عُمَرَ، يَقُولُ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَبِسَ الحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الآخِرَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশম পরিধান করবে সে আখেরাতে তা থেকে বঞ্চিত হবে।(সহীহ বুখারী(শামেলা) হাদীস : ৫৮৩৪;সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২০৬৯/১১) বিস্তারিত জানুন- 1036


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঝুন ঝুন আওয়াজ হয় এমন নুপূর বা রেশমি চুড়ি, এ জাতীয় জিনিষ ব্যবহার করা সম্পূর্ণ রূপে হারাম ও নাজায়েয।চায় মাহরামের সামনে হোক বা গায়রে মাহরামের সামনে হোক।সর্ববস্থায় ই হারাম বলে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...