আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১,২য় রাকাতের  বা ৩ য় রাকাতের তাশাহুদে অনেক সময় আশহাদু এর বদলে অশাদু /আশাদু/আশ আদু এসব উচ্চারণ হয় দ্রুত/বেখেয়ালে পড়তে গিয়ে, এতে নামাজ নষ্ট হবে কি?

২,স্বামী স্ত্রী যদি নিজেদের মাঝে চুক্তি করে উভয়ে ২/৩ বছরের জন্য নিজেরা আলাদা থাকবে নিজেদের মত করে,একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ নয়।তবে স্বামী স্ত্রী তালাক না দিয়েই।একটি তালাক ও সে দেয়না।কিন্তু উভিয়ে যদি এই সম্মতিতে থাকে।তাহলে বিয়ের কোনো ক্ষতি হবে? বা এই ভাবে স্ত্রীকে যদি বলা হয়,আমরা এত বছরের জন্য আলাদা থাকব?। বা স্ত্রীকে যদি বলে তুমি চাইলে আমার থেকে যোগাযোগ বন্ধ রাখতে পারো ১ বছরেএ জন্য।এভাবে বললে?

৩,স্বামী যদি স্ত্রী তালাকের উদ্দ্যেশ্য ছাড়া বলে তোমার সাথে এখন থেকে নরম্যাল মানুষের মত ব্যবিহার করব,স্ত্রীর মত নয়।এখানে ব্যবহার বলতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবেনা এমন নয়।মানে খোজ খবত নেয়া কথা বলার ক্ষেত্রে যেমিন সাধারন মানুষের সাথে ফরম্যালি বা কয়েকদিন পর পর বলে এমন।উল্লেখ্য স্বামী স্ত্রী দূরে থাকে।

৪,স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুমি চাইলে এখন তালাক নিতে পারো,বা চলে যেতে পারো স্ত্রী তৎক্ষনাত স্পষ্ট হ্যা বা না বলেনা,তবে অস্পষ্ট কথায় কিছু বলে যাতে। এবং পরে তালাক নেয় বা চলে যায় তাহলে কি হব

5,কেউ যদি স্ত্রীকে বলে তালাকেএ নিয়তে,  'এজন্য বলছি আমার সাথে সম্পর্ক না রাখতে' এতে কি তালাক পড়বে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

« زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ »

“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]

 শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

“قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب”

“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”

https://www.ifatwa.info/19880 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে, 
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।

তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1126

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। তবে নিকটবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে নামায ফাসিদ হবে না। 

★সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে যদি এটি শুদ্ধ করে না নেয়া হয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে। 

তবে যদি আপনার মনে হয় যে আপনি শুদ্ধই পড়েছেন,তবে শুধু দ্রত করতে গিয়ে আপনার এমনটি মনে হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।

(০২)
এতে তালাক হবেনা।
এভাবে স্বামী স্ত্রী কথাবার্তা, যোগাযোগ বন্ধ রাখা কোনো ভাবেই জায়েজ হবেনা।
এমনটি শরীয়ত কোনোভাবেই সমর্থন করেনা।

তবে এতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এধরনের কথা দ্বারা তালাক হবেনা।

(০৪)
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। 
স্ত্রী অস্পষ্ট ভাষায় কি কথা বলেছিলো? সেটি কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করুন।
তাহলে জবাব দিতে সুবিধা হবে।

(০৫)
শুধু এতটুকু কথা বলাতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...