আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ,

আজকে এক প্রশ্নের উত্তরে আমাকে বলেছেন আমার কোন কিছু গ্রহনযোগ্য হবে না।

https://ifatwa.info/58703/

একটু পুরোটা দেখে যদি পয়েন্ট আকারে বুঝিয়ে বললে উপকার হতো

১ নাম্বার প্রশ্ন)আমার একটা সমস্যার সমাধান হলে নতুন অন্য সমস্যা হয়।এখন আবার নতুন সমস্যা হচ্ছে । আমি মোবাইল চালাচ্ছিলাম তখন মনে মনে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে মোবাইল চালাইলে অইটা। বুঝে নিবেন দয়া করে। যতবার এই চিন্তা আসে ঠিক ততবার আমি মাথা নাড়াই না সূচক যে এইটা আমার নিয়ত বা এইটা আমার কথা না। তারপর অজু করতে গেলাম তখন আবার মনে মনে আসে অজু করলে অইটা। কিন্তু আমি এটা চিন্তা করিনা চিন্তার বিরুদ্ধে ,আমার ইচ্ছাতো এটা না। নামাজে যাওয়ার পথে প্রত্যেক কদমে কদমে মনে মনে একের পর এক শর্ত ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেটা আমার ইচ্ছা না।তারপর নামাজ পড়বো নামাজের মধ্যে একই অবস্থা। খাবার খাবো এমন সময় খাবার খেলে অইটা মনে মনে চলে আসে,তখন চিন্তা করি যে চিন্তা  আসলে আসুক আমি খাবো কিচ্ছু হবে না ।আমি আসলে এই ভেবে খাবার খেয়েছি যে মনে মনের চিন্তা নাকি ধরা হয়না ।খাবার খাওয়ার কারনে কি হয়ে যাবে? এখন তো টেনশন হচ্ছে ,আমি মোবাইল ও চালিয়েছি ,অজু ও করেছি নামাজ ও পড়েছি ,খাবার ও খেয়েছি।নামাজ না পড়ে ,খাবার না খেয়ে ,কাজ না করে কিভাবে থাকবো আমি ? দয়া করে একটা উত্তর দেন আর তাছাড়া আমি খাবার খাওয়ার সাহস করেছি কারন আপনারা আমার আগের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে আমি ওয়াসওয়াসা রোগি তাই কিছু হবে না এভেবে খাবার খেয়েছি, নামাজ ও পড়েছি,অযু করেছি। বুঝতে পারছিনা , উত্তর পাওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া করবো কিনা?

 ২নাম্বার প্রশ্ন) আমি যে প্রত্যেক কথায় কথায় নিয়ত করি কেনায়া সন্দেহের ভয়ে । আমার এ নিয়ত মুখে উচ্চারণ দারা কোন সমস্যা হবে নাতো? বেশির ভাগ সময় মনে মনে বলি, মাঝে মাঝে মুখে উচ্চারণ করি বলি " আমার কোন নিয়ত নাই // কোন নিয়ত নাই " মানে আমার কোন তা*** নিয়ত নাই এটা বুঝাই ।

৩ নাম্বার প্রশ্ন )বিকাল বেলায় মনে মনে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শর্ত চলে আসে যদি স্ত্রীর সাথে কথা হয় তাহলে অইটা হয়ে যাবে ।এট  আসলে আমি চিন্তা করতে চাইনি।এগুলোঅহেতুক চিন্তা ভেবে স্ত্রীর সাথে রাতের বেলায় কথা বলি।স্ত্রীর সাথে কথা বলার পর অভ্যাস গত ভাবেই উচ্চারন করে বলি ,"কোন নিয়ত নাই"। আমি আগেই বলেছিলাম যে এটা বলা আমার একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে, কেনায়া সন্দেহ থেকে নিরাপদে থাকতেই এটা বলি আমি। এটা বলার পর  মনে মনে শর্তের কথা আবার খেয়াল হয় একটু অন্যভাব সঠিক ভাবে মনে করতে পারছি না অনেক চিন্তা করেছি অনেকটা এরকম হতে পারে যে," নিয়ত নাই মানে কি সম্পর্ক রাখার নিয়ত নাই অথবা কথা বলার নিয়ত নাই?" তাহলে আগের মনে মনের শর্তই ঠিক " এরকম আজেবাজে কিছু একটা চিন্তায় চলে আসে। সঠিক ভাবে খেয়াল পরছেনা কিভাবে কথাটা চিন্তায় এসেছিলো ।অনেক চিন্তা করে এতটুকো উপস্থাপন করতে পেরেছি ।এখন প্রচন্ড ভয় হচ্ছে যে আমার কোন নিয়ত নাই একথার দারা আবার কোন শর্ত হয়ে গেল কিনা বা অইটা হয়ে যাবে কিনা ?কোন নিয়ত নাই একথা আর উচ্চারণ করা যাবে কি নাকি উচ্চারণ করলে সমস্যা হবে? যেহেতু আমার আগের ফতুয়ায় বলেছেন https://ifatwa.info/58703/  যে আমি ওয়াসওয়াসা রোগি তাই আমার ওইটা হবেনা। অইটা না হয়ে  যদি শর্ত হয়ে যায় তাহলে এখন আমার কি করা উচিত। আমি আগে উচ্চারন করে বলেছি কোন নিয়ত নাই তার পর মনে মনে চিন্তা আসছে শর্তের বিষয়ে ।কোন ভাবে শর্ত ফিরিয়ে নেয়া যাবে ?

৪নাম্বার প্রশ্ন) আজকের ১ নাম্বার প্রশ্নের ঘটনার পর সন্দেহ হচ্ছে যে অতীতে আমি কখনো স্ত্রীকে কোন শর্ত দিয়েছি কিনা? আমার যতটুকু মনে পড়ে এং পূর্ণ বিশ্বাস যে আমি কোন শর্ত দেইনি কখনো । আজকের ঘটনার পর এখন সন্দেহ হচ্ছে।

৫নাম্বার প্রশ্ন) আমি  নামাজ আদায় করছিলাম   ৩ রাকাত নামাজের সময় মনে মনে যখন অনবরত শর্ত মাথায় আসছিলো ।তখন শয়তানের ধোকায় নামাজের মধ্যেই আমার প্রিয় খাবার নিয়ে ও শর্ত আসে যে ,এই খাবার খেলে অইটা  ,তখন আমি নামাজের মধ্যেই চিন্তা করি যে এই শর্ত আসলে ভালোই হবে  ,এই উছিলায় এই খাবার টা বাদ দেয়া যাবে। যেহতু নামাজে ছিলাম অবশ্যই মুখে বলিনি। তখন সূরা ফাতেহা পরছিলাম আমি ১০০ ভাগ সিউর। মুখে উচ্চারণ করার প্রশ্নই আসে না। সূরা ফাতেহা পরার কারনে জিহবা নড়েছে  কিন্তু আমার বিশ্বাস আমি মুখে উচ্চারন করিনি। আমি সিউর কানে শুনিনি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি আমার প্রিয় খাবারটা আর খেতে পারবো কিনা? খাবার খেলে পরে সন্দেহ হতে পারে তাই আগেই জিজ্ঞাসা করে রাখলাম।

৬নাম্বার প্রশ্ন)যদি কেউ অই বিষয়ে শর্ত দেয় পরে অই ব্যক্তি চাইলে কি শর্ত তুলে নিতে পারবে? যেমন কেউ যদি বলে অইখানে যাবে না ,গেলে অইটা । পরে আবার শর্ত তুলে নিতে পারবে যে গেলে কোন সমস্যা হবে না। জানার জন্য প্রশ্ন করলাম ।

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনি নিশ্চিন্তে খাবার খাবেন,নামাজ পড়বেন,কাজ করবেন,কিছুই হবেনা।
উত্তর পাওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন,এতেও কিছু হবেনা।

মনের মধ্যে আসা এগুলো কোনো কিছুকেই গুরুত্ব দিবেননা।

(০২)
এগুলো দ্বারা আপনার উপর কিছুই আবশ্যক হবেনা।
তাই আপনি টেনশন মুক্ত থাকুন। 

(০৩)
এখানে তালাকও হবেনা,শর্তযুক্ত কিছুও হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 

(০৪)
উক্ত সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা। 
এমন কিছু আর মাথাতেই আনবেননা।

(০৫)
আপনি আপনার প্রিয় খাবারটা আর খেতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।

(০৬)
সে আর শর্ত তুলে নিতে পারবেনা।

তবে আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই আপনার ক্ষেত্রে শর্ত ধর্তব্য হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...